এই মুহূর্তে

মুক্তিরচক গণধর্ষণ কান্ডে ৮ জনের ২০ বছরের কারাদণ্ড

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য রাজনীতিতে পরিবর্তনের পরে যে গণধর্ষণের ঘটনা রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে দিয়েছিল তা ছিল হাওড়া(Howrah) জেলার উলুবেড়িয়া(Uluberia) মহকুমার আমতা(Aamta) থানার মুক্তিরচক গণধর্ষণের ঘটনা। ২০১৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি রাতে মুক্তিরচক(Muktirchak) গ্রামে এই গণধর্ষণের(Gangrape) ঘটনা ঘটেছিল। ওই রাতে এক কংগ্রেস সমর্থক পরিবারের দুই গৃহবধূ ও তাঁদের শ্বাশুড়িকে গণধর্ষণ করার ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি রীতিমত উত্তাল হয়ে উঠেছিল সেই সময়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে এই গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে মোট ১০জনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ৮জনকে আমতা আদালত গত বৃহস্পতিবারই দোষী সাব্যস্ত করেছিল। ২জনকে প্রমাণের অভাবে মুক্তি দিয়েছিল। শনিবার দোষী ৮জনকে বিচারক ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় শুনিয়েছেন। এই ৮জন হল বরুণ মাখাল, বংশী গায়েন, নব গায়েন, সৈকত মণ্ডল, সুকান্ত পাত্র, গৌতম মাখাল, গৌরহরি মাখাল ও শংকর মাখাল। আর নির্দোষ ঘোষণা করা হয়েছে জগৎ মণ্ডল ও রঞ্জিত মণ্ডলকে।

আরও পড়ুন খালি হাতেই বাংলায় ফিরলেন মুকুল, থেকে গেল কিছু প্রশ্ন

ঘটনার দিন রাতে এলাকা অন্ধকার করে রাখার জন্য এলাকার আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তারপর নির্যাতিতাদের বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূ ও তাঁর শাশুড়িকে গণধর্ষণ করে। এলাকার লোকেরা আওয়াজ পেলেও ভয়ে কেউ বের হয়নি। গৃহবধূর জেঠিশাশুড়ি কোনওরকমে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় অন্ধকারে একলা ছুটতে থাকেন পুলিশের কাছে যাওয়ার জন্য। পথমধ্যে টহলরত পুলিশকে দেখতে পান। তাঁদেরকে ঘটনা কথা বলেন। তারপর পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই ধর্ষিতাদের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ধীরে ধীরে আমতা থানার পুলিশ মোট ১০জনকে গ্রেফতার করে। গণধর্ষণের ঘটনার ৮৭ দিনে চার্জশিট পেশ করে পুলিশ। এরপর ২০১৪ সালের নভেম্বর মাস থেকে আমতা আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মাঝে দোষীরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে প্রকাশ্যে ঘোরাফেরা করছিল। তবে এলাকায় ঢোকা তাদের নিষিদ্ধ ছিল। তাছাড়া নির্যাতিতাদের যথাযথ নিরাপত্তার জন্য মুক্তিরচক গ্রামে পুলিশের ক্যাম্প করা হয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে।

আরও পড়ুন WBCS পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক ৩০০ নম্বরের বাংলা Paper

আদালতে দীর্ঘদিন ধরে এই মামলার শুনানিও চলে। শুনানিকালে মোট ৪৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এদিন আমতা আদালতের বিচারক রোহন সিনহা বরুণ মাখাল, বংশী গায়েন, নব গায়েন, সৈকত মণ্ডল, সুকান্ত পাত্র, গৌতম মাখাল, গৌরহরি মাখাল ও শংকর মাখালকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দন্ডিত করেছেন। সেই সঙ্গে যথাযথ প্রমাণ না থাকায় জগৎ মণ্ডল ও রঞ্জিত মণ্ডলকে নির্দোষ ঘোষণা করেছেন। দোষীদের ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৯ (অবৈধ জমায়েত), ৩২৩ (শারিরীক নিগ্রহ, মারধর), ৪৫০ (বেআইনিভাবে প্রবেশ) ও ৩৭৬ ডি (গণধর্ষণ) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

ভূপতিনগরে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৮ তৃণমূল নেতাদের তলব করল এনআইএ

রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষ স্বামী গৌতমানন্দ

‘দিদিকে’ ভালোবেসে বিনা পারিশ্রমিকে দেওয়াল লিখনে ব্যস্ত অশীতিপর বোস দা

প্রচারে নেমেই স্থানীয় ‘ঠাম্মা’-কে জড়িয়ে ধরলেন রচনা

সোমবার পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ঘরে পৌঁছে যাবে

সুকান্তের জেলায় ভোট প্রশিক্ষণে গরহাজির ৭০০ কর্মীকে শোকজ

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর