নিজস্ব প্রতিবেদক: দেখা যাচ্ছে আছে বস্তা বস্তা আলু কিন্তু বেরোচ্ছে গরুর ‘হাম্বা’ ডাক। তা দেখে শুনেই তাজ্জব পুলিশ (Police)। নাকা চেকিং করতে গিয়ে মাথা গেল না কি! চমকে উঠেছিলেন ওসি সুব্রত গুণ। তারপর যা দেখলেন তাতে হাসবেন না কাঁদবেন তা ভেবেই অস্থির তিনি ও তাঁর বাহিনী। অবশেষে কড়া হাতে নিলেন পদক্ষেপ।
সোমবার সকালে লাটাগুড়ি মহাকাল মোড়ে টিম নিয়ে নাকা চেকিং চালাচ্ছিলেন ক্রান্তি পুলিশ ফাঁড়ির ওসি সুব্রত গুণ। চেকিং করছিলেন গাড়ি, ট্রাক।হঠাৎ দেখতে পান আলু বোঝাই দুটি লরি। চমকে উঠলেন তারপরেই। দেখছেন আলু বোঝাই লরি কিন্তু তা থেকে শব্দ আসছে হাম্বা। গরুর ডাকে তাজ্জব হয়ে যান তিনি। সন্দেহ দানা বাঁধতে থাকে।
এরপর দুটি লরিকে দাঁড় করিয়ে ডালা খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়। চালক, খালাসীর অনেক কাকুতি মিনতিতেও কান দেন না দায়িত্বশীল পুলিশ আধিকারিক। আর ডালা খুলতেই পুলিশ আধিকারিকের চক্ষু চড়কগাছ। দেখা যায়, দুটি লরিতেই প্লাই বোর্ড দিয়ে বানানো হয়েছে গোপন কুঠুরি। তার ওপরে রয়েছে বস্তা বোঝাই আলু। আর নিচের কুঠুরিতে গরু। এভাবেই পাচারের (Cow Smuggling) জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল গন্তব্যস্থলে। এভাবে রাখার জন্য গরুগুলির অবস্থা চিল কাহিল। এরপরেই তিনি দেরি না করে দুটি লরি ও গরু বাজেয়াপ্ত করেন।
প্রসঙ্গত, অতি সম্প্রতি এই ক্রান্তি ফাঁড়িতে ভুষি বোঝাই একটি ভ্যান থেকে গরু উদ্ধার হয়েছিল। ঘটনায় জলপাইগুড়ি পুলিশ সুপার (SP) দেবর্ষি দত্ত বলেন, এই ঘটনায় ৮ টি গরু বাজেয়াপ্ত করার পাশাপাশি লরির চালকদের আটক করে তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়েছিল, তা দেখাতে না পারায় তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।