নিজস্ব প্রতিনিধি: সিপিআই (CPI) রাজ্য সম্মেলনে ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল কিন্তু হল হাতাহাতি। সম্মেলন থেকে বেরিয়ে গেলেন একাধিক প্রথম সারির নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দাঁড়িয়ে রইলেন চুপ করে। বচসা থেকে হাতাহাতির কেন্দ্রে ছিলেন স্বপন ব্যানার্জি।
স্বপন ব্যানার্জিকে রাজ্য সম্পাদক হিসেবে মানতে নারাজ একপক্ষ। রাজি ছিলেন না শ্রী কুমার মুখার্জি, মধু ছন্দা দেব এবং প্রবীর দেব সহ একাধিক নেতৃত্ব। অভিযোগ, প্রথম দিন থেকে বিরোধী প্যানেল প্রেসিডিয়ামে ছিল না তাঁর নাম। এদিকে স্বপন ব্যানার্জির নেতৃত্বে ৮১ জনের বিরুদ্ধে পাল্টা প্যানেল পেশ করেন শ্রীকুমার মুখার্জি। শ্রীকুমারের দাবি ছিল, গোপন নির্বাচনের।
ডি রাজা জানিয়েছিলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে গোপন ভোট হলে বাইরে ভুল বার্তা গিয়ে পৌঁছাবে। ভোটের দাবিতে সরব ছিলেন শ্রীকুমার মুখার্জিরা। আর এই মতের অমিল থেকেই দ্বন্দ্ব।
শ্রীকুমার মুখার্জি বলেন, তিনি চেয়েছিলেন সংবিধান মেনে চলা হোক। দাবি ছিল নির্বাচনের। অন্যদিকে পুন:র্নির্বাচিত সিপিআই রাজ্য সম্পাদক স্বপন ব্যানার্জি বলেন, দলের অন্তরে মতবিরোধ থাকে তা বাইরে প্রকাশ করা উচিত নয়।
দলের একাংশের প্রশ্ন, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা কমিটির সম্পাদক মন্ডলী গঠনের সময় কেন হোলটাইমার না হয়েও নিয়ম ভেঙে বাবুল কর, তন্ময় ভট্টাচার্য ও আহমেদ খান সম্পাদক মন্ডলীতে থাকলেন? কটাক্ষ করে বলা হয়, আমন্ত্রিত সদস্য বাবুল করকে পদ গিফট দেওয়া হয়েছে!