-273ºc,
Saturday, 3rd June, 2023 2:30 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্যে কোভিড ঠেকাতে জারি হয়েছে কড়া বিধিনিষেধ। তার আওতায় পড়েছে লোকাল ট্রেন পরিষেবাও। সেই সূত্রেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্যে ভোর ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত লোকাল ট্রেন চলবে। অর্থাৎ ভোর ৫টায় সমস্ত প্রান্তিক স্টেশন থেকে প্রথম ট্রেন ছাড়বে ও রাত ১০টায় সমস্ত প্রান্তিক স্টেশন থেকে শেষ ট্রেন ছাড়বে। কিন্তু বুধবার ভোররাত থেকে পূর্ব রেলের শিয়ালদা ডিভিসনের দুটি স্টেশনে অবরোধ শুরু হয় ভোররাতের দুটি ট্রেন বাতিল হওয়ার ঘটনায়। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার শিয়ালদা-বনগাঁ শাখার ঠাকুরনগর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার শিয়ালদা-ক্যানিং শাখার তালদি স্টেশনে অব রোধ শুরু হয় ভোররাত থেকে। আর তার জেরেই এই দুই শাখায় ট্রেন চলাচলের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাচক্রে দুটি ক্ষেত্রেই অবরোধকারীদের সংখ্যা কয়েক হাজার ও তাঁদের বেশিরভাগই আবার মহিলা। ফলে রেল পুলিশ ও আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে গিয়েও কার্যত পরিস্থিতির সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছেন।
স্বাভাবিক সময়ে পূর্ব রেলের শিয়ালদা বনগাঁ শাখায় কলকাতার দিকে আসার জন্য কার্যত ভোর রাতেই ট্রেন থাকে। বনগাঁ থেকে শিয়ালদার উদ্দেশ্যে প্রথম দুটি ট্রেনই ছাড়ে রাত ২.৫৮মিনিটে ও ভোর ৪টে ২৫ মিনিটে। তৃতীয় ট্রেন ছাড়ে সকাল ৫টা ১৫মিনিটে। কিন্তু যেহেতু রাজ্যে কোভিড বিধি লাগু হয়েছে ও ভোর ৫টা থেকে লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তাই এদিন বনগাঁ থেকে শিয়ালদার উদ্দেশ্যে প্রথম দুটি লোকাল ট্রেনই বাতিল করা হয়েছে। তবে ভোর ৫টা থেকে সব লোকাল ট্রেনের সময়সূচী একই রাখা হয়েছে। আবার রাত ১০টার পরের ট্রেনগুলিই বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু এদিন ভোররাতের প্রথম ট্রেনটি বাতিল করার পরে পরেই কার্যত রাত ৩টে থেকেই ঠাকুরনগর স্টেশন লাগোয়া রেলগেট অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন কয়েক হাজার যাত্রী যাদের বেশিরভাগই মহিলা। এরা মূলত ফুলবিক্রেতা। তাঁদের বক্তব্য, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফুল নিয়ে যেতে না পারলে তা বিক্রি হবে না। তাতে তাঁদের রুটি রুজিতে ধাক্কা লাগবে। সংসার চালাতে সমস্যায় পড়তে হবে তাঁদের। তাই আগের মতোই ট্রেন চালাতে হবে এই দাবি নিয়েই রেল অবরোধ শুরু করেন তাঁরা।
আবার ক্যানিং থেকে শিয়ালদা আসার প্রথম দুটি ট্রেনই ছাড়ে রাত ৩টে ৪৫ মিনিটে ও ভোর ৪টে ৩২মিনিটে। তৃতীয় ট্রেনটি ছাড়ে সকাল ৫টা ১৭ মিনিটে। কিন্তু কোভিডবিধির কারনে প্রথম দুটি ট্রেনই বাতিল করা হয়েছে। তার জেরেই অবরোধ শুরু হয়েছে তালদি স্টেশনে। রেললাইনে লোহার পাত ফেলে অবরোধ শুরু হয়। আর তার জেরে ভোগান্তির মুখে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, প্রথম দুটি ট্রেনে করেই কলকাতায় কয়েক হাজার মানুষ কাজ করতে যান। সবজি বিক্রেতা থেকে মাছ বিক্রেতারাও ওই দুটি ট্রেন ধরেন। তাই ওই দুটি ট্রেন বন্ধ হলে তাঁরা কাজে যেতে পারবেন না। তাই ট্রেন দুটি চালাতেই হবে।