নিজস্ব প্রতিনিধি: জঙ্গল থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে আসা একটি হরিণের মৃত্যু মর্মান্তিক মৃত্যু হল। লাটাগুড়ি জঙ্গল থেকে হরিণটি লোকালয়ে বেরিয়ে আসে। জলপাইগুড়ি জেলার মেটেলি ব্লকের বিধাননগর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় হরিণটির মৃত্যু হয়। হরিণের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পরেছে এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লাটাগুড়ি জঙ্গল থেকে হরিণটি বেরিয়ে মেটেলি ব্লকের বিধাননগর গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় একটি ফার্ম হাউজে ঢুকে যায়। মাথাচুলকায় রহমান ফার্ম হাউজে ওই হরিণটি ঢুকে পড়ার পর তাকে উদ্ধার করার জন্য বন দফতরে খবর দেওয়া হয়। তার আগে ফার্ম হাউজের কর্মীরা হরিণটি ধরার চেষ্টা করে।ফার্ম হাউজের কর্মীরা হরিণটিকে ধরে রাখে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা। হরিণটিকে উদ্ধার করার আগে হরিণটি ওই ফার্ম হাউজে দৌড়োদৌড়ি করে বলে জানান স্থানীয়রা। ছোটাছুটি করার সময় হরিণটির দেহে একাধিক গুরুতর আঘাত হয়। এর পর যখন সেটিকে উদ্ধার করার কয়েক ঘণ্টা পর তার মৃত্যু হয়। বনকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হরিণের মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে বন্যপ্রাণী শিকার করে ভোজনের সময় বনকর্মীরা অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। পাশাপাশি জায়ান্ট স্ক্যুরেল ও ওয়াটার লিজার্ডের দেহাংশ ও কাঁচা মাংস উদ্ধার করেছে বন দফতরের কর্মীরা। বন দফতর সূত্রের খবর, ধৃত তিন জনের নাম লব উড়িয়া (২৬), সুমিত উড়িয়া (২৪), পিন্টু কাওয়ার (২৫)। তবে মূল অভিযুক্ত সুভাষ উড়িয়া পলাতক। তার খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তুকারীরা। সোমবার রাতে কালীপুর বনবস্তির বাসিন্দা সুভাষ উড়িয়ার বাড়িতে ভোজের প্রস্তুতি চলছিল। সেই সময় শিকার করা বন্যপ্রাণীগুলির দেহ থেকে চামড়া ছাড়ানোর প্রক্রিয়া চলছিল। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গরুমারা বন্যপ্রাণ বিভাগের বুধুরাম বিটের বনকর্মীরা ওই বাড়িতে হানা দিয়ে তিন জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।