নিজস্ব প্রতিনিধি, পূর্ব মেদনীপুর: কাঁথির এসডিও অফিসের সামনে চাকরির দাবিতে ধর্না। দীঘা থানায় কর্মরত অবস্থায় তিন বছর আগে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় নুলিয়া (সিভিল ডিফেন্স কর্মী) সঞ্জয় শীটের। স্বামীর মৃত্যুর পর দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে অসহায় অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন সঞ্জয়- র স্ত্রী মানসীদেবী । দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কার্যালয় থেকে রাজনৈতিক কর্তা ব্যক্তি সহ এলাকার বিধায়কের(MLA) দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সাহায্য এবং কাজের জন্য ।কিন্তু প্রায় তিন বছর হতে চলল এখনো পর্যন্ত কিছুই মেলেনি।
আজ দুপুরে কাঁথির এসডিও (SDO)অফিসের সামনে চাকরির দাবীতে ধর্নায় বসেন তিনি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান ,কাজ কিংবা সাহায্য সহানুভূতি না মিললে আত্মহত্যা করা ছাড়া উপায় নেই ।পরিবারের একমাত্র রোজগারসীল ছিলেন সঞ্জয় , স্বামীর মৃত্যুর পর পরিবারে অভাব অনটনে দুটো শিশুকে খাওয়ানো ,পোড়ানো তার পক্ষে আর সম্ভব হয়ে উঠছে না। অগত্যা মৃত্যুবরণ করা ছাড়া আর উপায় নেই। তাই শেষ আর্জি জানাতে এসেছেন তারা ।এরপর কোন সদ্যুতর না পেলে আত্মহত্যাই হবে তাদের একমাত্র পরবর্তী পথ। সঞ্জয় স্ত্রী আরও বলেন,দীঘা থানার(Digha P.S.) সিভিল ডিফেন্সের (নুলিয়া) কর্মী সঞ্জয় শিট তিন বছর আগে ওল্ড দীঘার জগন্নাথ ঘাটে এক পর্যটককে উদ্ধার করতে গিয়ে পাথরের খাঁজে পড়ে গিয়ে বুকে চোট পান।
দীর্ঘদিন চিকিৎসা চালিয়ে ও শেষ রক্ষা হয়নি। প্রায় আড়াই বছর আগে মারা যায় সঞ্জয়। বর্তমানে মৃত সঞ্জয়ের স্ত্রী ও দুই ছেলে মেয়ে রয়েছে। সঞ্জয়ের মৃত্যুর পর পরিবারে নেমে এসেছে অভাব অনটন। অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটছে সবাই।সঞ্জয়ের স্ত্রী মানসীকে চাকরি সহ ৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ও এখনও পর্যন্ত কিছুই জোটেনি। এমনকি বিধবা ভাতা পর্যন্ত মেলেনি। দিনের পর দিন সরকারি আধিকারিক থেকে রাজনৈতিক কর্তাব্যক্তিদের কাছে ছুটে চলেছেন কোন রকম সাহায্য পাননি শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছেন।