নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোট আসে ভোট যায়। দিন বদলায়, অবস্থা আর বদলায় না। চাতক পাখির মত চেয়ে দিন গুনছেন নদিয়ার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত শান্তিপুর এবং ফুলিয়ায় হাজার হাজার তাঁতি। কবে হবে তাঁদের উন্নতি ? এই প্রশ্ন ক্রমাগত ভাবিয়ে তুলছে তাঁদের। কারণ ভোট আসলেই প্রতিশ্রুতি, ভোট চলে গেলে আর কেউ ঘুরেও তাকায় না। শিল্পের উন্নতির জন্য বিভিন্ন আশা নিয়ে প্রার্থীদের ভোট দিয়ে থাকেন হাজার হাজার তাঁতিরা। কিন্তু ভোট পেরোলেই আর কেউ তাঁদের কথা ভাবে না। রুপকথার অলীক স্বপ্ন আঁকড়ে বসে থাকে তাঁতিরা। কখনো যদি তাঁদের ভাগ্য ফেরে এই আশায় দিন গুনতে গুনতে অবশেষে চলেই এল লোকসভা নির্বাচন। এই বছর তাঁরা ভাবছে, কাকে সমর্থন করবে ? বিজেপি নাকি তৃণমূল কার উপর আস্থা রাখতে চাইছেন তাঁত শিল্পীরা ?
নদিয়ার শান্তিপুর এবং ফুলিয়া মূলত তাঁত শিল্পের জন্যই বিখ্যাত। এখানে হাজার হাজার তাঁত শিল্পী এবং তার পরিবার মূলত এই শিল্পের ওপরই নির্ভর করে থাকেন। এখানে শুধু স্থানীয়রা নন, রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে এলাকায় বিভিন্ন তাঁতিরা তাঁত বুনতে আসেন। তাদের একমাত্র রুজি রোজগারের জায়গা এই শিল্পী। শুধুমাত্র তাঁত শিল্পীরাই নয়, আরও অনেকে এই শিল্পের ওপরেই নির্ভরশীল। কিন্তু তাঁদের উন্নতি কোথায়? এইভাবে চলতে থাকলে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিলুপ্তি হয়ে যাবে বাংলার তাঁত শিল্প।
গত ২০১৪ লোকসভা ভোটে রানাঘাট কেন্দ্রেে জিতেছিলেন তৃণমূলের তাপস মণ্ডল। কিন্তু ভাগ্য বদলের আশায় ২০১৯ সালে শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত শিল্পীরা জিতিয়েছিলেন বিজেপির জগন্নাথ সরকারকে। বহু আশায় তারা বুক বেঁধেছিলেন হয়তো কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে তাদের জন্য আলাদা কোনও ব্যবস্থা হবে। কিন্তু গত পাঁচ বছরে আবারও নিরাশ হয়েছেন তাঁরা। তবে কি কেন্দ্রের ওপর আস্থা রাখার মাশুল গুনতে হচ্ছে তাঁদের, এখন এই কথাই ভাবছেন তাঁত শিল্পীরা।