নিজস্ব প্রতিনিধি: প্রতিশ্রুতি রাখলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (MAMATA BANERJEE)। ২৬০ জনকে দিলেন চাকরির নিয়োগপত্র (APPOINMENT LETTER)। দেউচা পচামি কয়লা প্রকল্পের জন্য জমিদাতাদের মধ্যে ২৬০ জনের হাতে তুলে দিলেন নিয়োগপত্র। এঁরা চাকরি পেলেন জুনিয়র কনস্টেবল পদে। শুক্রবার নিজের হাতে তুলে দিলেন নিয়োগপত্র।
প্রস্তাবিত কয়লাখনি হলে তা হবে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা প্রকল্প। এই প্রকল্পে জমি নেওয়াকে কেন্দ্র করে একাংশের মধ্যে দেখা গিয়েছিল অসন্তোষ। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছিলেন, বিশেষ প্যাকেজ। সেই প্যাকেজের মধ্যে ছিল জুনিয়র কনস্টেবল পদে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি। ঘোষণা করা হয়েছিল, যোগ্যতা থাকলে উচ্চ পদেও করা হবে নিয়োগ। উল্লেখ্য, আড়াই হাজার জন জমি দিতে রাজি হয়েছেন।
জমিদাতাদের সমস্ত নথি খতিয়ে দেখা হয়েছিল। প্রথম পর্যায়ে জেলা পুলিশে চাকরি দেওয়া হয় ২৬০ জনকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চাকরি প্রাপকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ব্যারাকপুরে। আগামী রবিবার থেকেই শুরু হবে প্রশিক্ষণ। তারপর বিভিন্ন জেলায় দেওয়া হবে পোস্টিং। প্রশিক্ষণের মেয়াদ প্রায় সাড়ে তিন মাস। চাকরি পেয়ে আপ্লুত জমিদাতারা।
উল্লেখ্য, গত ১২ মে দেউচা পচামিতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাঁদের আসতে দেখেই দেওয়া হয়েছিল ‘শুভেন্দু- সুকান্ত দূর হঠো’, ‘গো ব্যাক’ স্লোগান। শুধু তাই নয়, গ্রামবাসীরা তির- ধনুক নিয়ে পথ অবরোধ করেছিলেন শুভেন্দু- সুকান্ত সহ বিজেপির প্রতিনিধি দলের। দেখানো হয়েছিল বিক্ষোভ।
গ্রামবাসীদের সাফ জবাব ছিল, দেউচা- পাচামি নিয়ে রাজনীতি নয়। জঙ্গল-জমি- জীবিকা নিয়ে রাজনীতি করা যাবে না বলে, বিজেপির মিছিলের পাল্টা মিছিলও করেছিল গ্রামবাসীরা। তাঁদের হাতে ছিল কালো পতাকা, তির ও ধনুক। শুধু তাই নয় বিজেপি নেতৃত্বকে দেওয়া হয়েছিল, ‘দালাল’ তকমা। ওই দিন বীরভূমের মথুরাপাহাড়ি এলাকা সংলগ্ন ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কে মিছিল করেছিল বিজেপি। আর তাতেই এই গণ বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল তাঁদের। গ্রামবাসীরা গ্রামে বিজেপির মিছিল ঢোকার আগেই করেছিলেন পথ অবরোধ। আর এতেই পিছু হঠেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। উল্লেখ্য, বিজেপি এদিন রাজ্য সরকারের প্যাকেজের বিরোধিতা করে মিছিল করতে চেয়েছিল।