-273ºc,
Friday, 2nd June, 2023 3:57 am
নিজস্ব প্রতিনিধি: এখানে দশমী থেকেই আরাধনা হয় দেবী দুর্গার (DURGA)। শুনে অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন দশমী তো বিসর্জনের দিন। তাহলে? কিন্তু উত্তরবঙ্গে হয়ে আসছে এমনটাই। এই পুজো মূলত চার দিনের। জলপাইগুড়ি এবং সংলগ্ন এলাকায় রীতি এমনটাই।
প্রচলিত বিশ্বাস, দশমীর দিনে কৈলাস পাড়ি দেওয়ার পথে দেবী দুর্গা ফিরে আসেন মর্ত্যে। দেবী এখানে ‘ভান্ডানী’ রূপে পূজিতা। মূলত রাজবংশীদের আরাধ্য এই দেবী।
তবে এই পুজো নিয়ে রয়েছে অনেক মত। স্থানীয়দের বিশ্বাস, দেবী দুর্গা মর্ত্য থেকে কৈলাসে পাড়ি দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাই এখানে অপেক্ষা করেছিলেন কিছুদিন। আবার অন্য মতে, দেবী দুর্গা কোচবিহার রাজবাড়ি থেকে কৈলাস পাড়ি দেওয়ার সময় তাঁর ‘ভাণ্ডানী’ নামে এক পরিচারিকা অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তিনি বিশ্রাম নিয়েছিলেন এখানে। তাঁরই পুজো করা হয়।
স্থানীয়দের অনেকেই বিশ্বাস করেন, উত্তরবঙ্গে থাকাকালীন স্থানীয় রাখালদের বাঘের ভয় দেখিয়েছিলেন দেবী। আর চূড়ান্ত ভয় পেয়ে দেবীর আরাধনা শুরু করেছিলেন স্থানীয়রা। তাই এই পুজোর প্রচলন মিথ্যে বা ‘ভণ্ডামি’ থেকে। তা থেকেই দেবীর নাম ‘ভাণ্ডানী’। আবার অন্য মতে, উত্তরবঙ্গে ভালুককে বলা হয় ‘ভাণ্ডি’। উত্তরের জঙ্গল ও সংলগ্ন এলাকায় ভালুকের হাত থেকে রক্ষা পেতে ‘ভাণ্ডানী’ দেবীর পুজোর প্রচলন।
স্থানীয়দের বিশ্বাস, এই দেবীর পুজো করলে ফলন ভালো হয়। অনেকের মতে, এই ভাণ্ডানী দেবী আসলে রাজবংশীদের দেবী। তাই দেবী হয়ে উঠেছেন রাজবংশীদের অন্নপূর্ণা।
উল্লেখ্য, দেবী দুর্গার যাত্রাকালে এই পুজো করা হয় বলে এর নাম ‘যাত্রাপুজো’। এই যাত্রা পুজোর পর থেকেই হয় ‘ভাণ্ডানী বন্দনা’। অনেকে আবার মনে করেন, জঙ্গলের এই দেবীই বনদুর্গা।