নিজস্ব প্রতিনিধি: মাও-হামলার আশঙ্কার মাঝে এবার বাঁকুড়া জেলা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। আগেই পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামের জেলা পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। এবার রবিবার বাঁকুড়া জেলা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের রিপোর্টের ভিত্তিতে গত শুক্রবার থেকে গোটা জঙ্গলমহলে ১৫ দিন হাই অ্যালার্ট জারি করেছে প্রশাসন। সূত্রের খবর মাওবাদীরা জঙ্গলমহলের বিভিন্ন এলাকায় হামলা চালাতে পারে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে। এর পর থেকে নড়েচড়ে বসে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
রবিবার বাঁকুড়া জেলা সফর করেন রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্য। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন পশ্চিমাঞ্চলের এডিজি সঞ্জয় সিং, বাঁকুড়া রেঞ্জের ডিআইজি সুনীল কুমার চৌধুরী। জেলার পুলিশ লাইনে পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার-সহ বাঁকুড়া জেলার সব থানার ওসি এবং আইসিদের নিয়ে দেড় ঘণ্টা ধরে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন তিনি। সূত্রের খবর, বাঁকুড়া জেলার সার্বিক আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি এবং মাওবাদী কার্যকলাপ নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়। রাজ্য পুলিশের তরফে মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকার ৫ থানাকে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়। মাও-হামলার আশঙ্কার মাঝে জঙ্গলমহলের জেলাগুলিতে রাজ্য পুলিসের ডিজির এই সফরকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, গত কয়েকমাস ধরে বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়ার জঙ্গলমহল এলাকায় মাওবাদীদের সক্রিয়তা বেড়েছে। মাঝে মাঝে উদ্ধার হচ্ছে মাওবাদী নামাঙ্কিত পোস্টার। এর মাঝে চলতি মাসের ৮ তারিখে মাওবাদীরা জঙ্গলমহলে বনধের ডাক দিয়েছিল। সেই বনধ সফল হয়েছিল। যা দেখে চিন্তার ভাঁজ পড়েছিল গোয়েন্দাদের কপালে। কার্যত নিজেদের শক্তি পরীক্ষা করার পর এবার বড়সড় হামলা চালাতে পারে বলে গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন। ইতিমধ্যে হাই অ্যালার্ট জারি করার পাশাপাশি পুলিশকর্মীদের ছুটি বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পুলিশকর্মীরা যদি ছুটিতে থাকেন তবে নিজেদের থানায় শুক্রবারই রিপোর্টিংয়ের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি জঙ্গলমহলে যে রাজনৈতিক নেতৃত্বের নিরাপত্তারক্ষী রয়েছে তাদের নিরাপত্তারক্ষীদের আগামী ১৫ দিন ছুটি না দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। বাড়তি সতর্কতা হিসাবে তাঁদের সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে বাড়ি ফেরার পরামর্শও দেওয়া হয় পু্লিশের তরফে।