নিজস্ব প্রতিনিধি: তিনি রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। অথচ তিনি আসা ইস্তক তাঁর ভূমিকা দেখলে বেশ পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে তিনি সাংবিধানিক দায়দায়িত্ব পালন করতে বাংলার ছোটলাট হিসাবে এখানে পা রাখেননি। বরঞ্চ বাংলার রাজভবনের বাসিন্দা করে তাঁকে কলকাতায় পাঠাবার নেপথ্যে রয়েছে গেরুয়া শিবিরের রাজনৈতিক পরিকল্পনা। আর তিনিও সেই পরিকল্পনা মাফিক বিজেপির এজেন্ট হিসাবে কাজ করে চলেছেন রাজভবনের অন্দরে বসে। তিনি জগদীপ ধনখড়। বাংলার মহামান্য রাজ্যপাল। এবার তিনি রাজ্য সরকারের সঙ্গে নতুন একটি বিষয় নিয়ে কার্যত যুদ্ধের বার্তা দিলেন। বৃহস্পতিবার সাত সকালে তিনি করলেন টুইট। আর সেই টুইটে তিনি অভিযোগ তুলে ধরলেন যে তাঁকে না জানিয়েই রাজ্য সরকার রাজ্যের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের নিয়োগ করেছে।
এদিন সকালে ধনখড় যে টুইট করেছেন তাতে তিনি জানিয়েছেন, রাজ্যের ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। সেই তালিকায় যেমন রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো তথাকথিত রাজ্যের প্রথমসারির বিশ্ববিদ্যালয় তেমনি রয়েছে কন্যাশ্রী বিশ্ববিদ্যালয়, দার্জিলিং পার্বত্য বিশ্ববিদ্যালয়, হরিচাঁদ গুরুচাঁদ বিশ্ববিদ্যালয়, হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয়, সংস্কৃত বিশ্ববিদ্যালয়, রানী রাসমণি বিশ্ববিদ্যালয়, মহাত্মা গান্ধি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো অনামী বিশ্ববিদ্যালয়ও। রাজ্যপালের অভিযোগ তাঁকে না জানিয়ে এইসব বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের নিয়োগ করা হয়েছে। যেহেতু এই বিষয়ে তাঁর কোনও অনুমোদন নেই তাই এইসব নিয়োগ বেআইনি।
যদিও এই টুইটকে বিন্দুমাত্র গুরুত্ব দিতে চাইছে না রাজ্য সরকার বা তৃণমূল। এই বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র বিশ্বজিৎ দেব জানিয়েছেন, ‘রাজ্যপাল হিসাবে জগদীপ ধনখড়ের উচিত তাঁর নিজের সাংবিধানিক পদের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ রাখা। কিন্তু তিনি তাঁর দিল্লির ‘বস’দের কথায় বিভিন্ন রাজনৈতিক মন্তব্য করছেন। রাজভবনকে বিজেপি-র পার্টি অফিস বানিয়ে ফেলেছেন। তাই ওঁর কোনও কথার কোনও গুরুত্ব আমাদের দলের কাছে নেই।’