এই মুহূর্তে




উত্তরপ্রদেশ ও বিহার থেকে মাফিয়া ও গুন্ডারা পশ্চিমবঙ্গে এসে ঘাঁটি গেড়েছে: দিলীপ ঘোষ




নিজস্ব প্রতিনিধি, পশ্চিম মেদিনীপুর: বিধানসভা উপনির্বাচনের শেষ দিনের প্রচারে মেদিনীপুরে যান প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ(Dilip Ghosh)।হাসপাতালে রেফার ইস্যু থেকে শুরু করে সিসিটিভি নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ, কলকাতায় অস্ত্রভাণ্ডার, বনগাঁয় গুলি, শিয়ালদা আদালতে সিবিআইয়ের সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট সহ একাধিক ইস্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন তিনি।পশ্চিমবাংলায় ভোটে সন্ত্রাস হবে এটা আমি জানতাম। শালবনির বহু গ্রামে বিজেপিকে ঝাণ্ডা বাঁধতে দেওয়া হচ্ছে না। কর্মীদের মারা হচ্ছে। বেরোলে ভয় দেখানোর চেষ্টা চলছে। পুলিশকে জানালে পুলিশ বলে, আমাদেরকে কি জিজ্ঞেস করে ঝাণ্ডা বাঁধছিলেন। সুতরাং নির্বাচনে পতাকা বাঁধতে গেলেও পুলিশের পারমিশন নিতে হবে, অতএব কি পরিস্থিতিতে ভোট হচ্ছে সেটা বোঝাই যাচ্ছে।

বনগাঁয় গুলি চালানো প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, পশ্চিমবাংলায় গুলি চালানো এটা নতুন নাকি, রাস্তাঘাটে কলকাতার বুকে রোজ গুলি চলছে ।বোম ফাটছে। ফলে এগুলো সয়ে গেছে। খুন , ধর্ষন, গুলি, বন্দুক, বম্ব কারখানা এগুলো সাধারণ ঘটনা হয়ে গেছে। এগুলো কুটির শিল্প আমাদের। মানুষ খুব একটা প্রভাবিত হয় না। আইন-শৃঙ্খলা(Law And Order) যেখানে নেই, দুষ্কৃতকারীরা যেখানে পার্টি আর সরকার চালায় সেখানে এর থেকে বেশি কিছু আশা করা যায় না। কলকাতায় অস্ত্র ভান্ডারের হদিস প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, সারা ভারতবর্ষের বিভিন্ন রাজ্যে যখন আইন শৃঙ্খলা কড়া হয়েছে।আমাদের পাশের রাজ্য বিহার, উত্তরপ্রদেশে ২০-৩০ বছর আগে জঙ্গলের রাজ ছিল। ওখানে সরকার পরিবর্তন হতেই দুষ্কৃতী, মাফিয়া ,গুন্ডারা পালিয়ে এসে পশ্চিমবঙ্গে ঘাঁটি গেড়েছে। আর এখানে যে সরকার আছে সে সরকার এই দুষ্কৃতকারীদের বন্ধু, অভিযোগ দিলীপ ঘোষের। বাংলাদেশের উগ্রপন্থী হোক বা নেপাল বা উত্তর-পূর্ব কিংবা পঞ্জাবের গ্যাংস্টার সবার এই রাজ্যে আড্ডা। আর এখানে নিশ্চিন্তে থাকে। কারণ এখানে কেউ গায়ে হাত দেবে না। সেন্ট্রাল রেফারেন্স সিস্টেম প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, কোন সিস্টেম নেই এখানে।

শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং প্রশাসন সবই ভেঙে পড়েছে। সেই সরকার এখন স্যালাইনে চলছে, সময় গুনছে, এক দেড় বছর কিভাবে কাটাবে।সিসিটিভি(CCTV) ক্যামেরা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, ধন্যবাদ দেওয়া উচিত এই জুনিয়র ডাক্তারদের, কমপক্ষে কড়া আন্দোলন করেছিল বলে পার্টির লোকেরা কামানোর সুযোগ পেল। না হলে দেড় লাখ টাকা ১ লাখ টাকা সিসিটিভি কি করে হয় আমরা তা জানি না, এর আগে এ রাজ্য সরকার যেসব সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছিল রাস্তায়, হাসপাতালে সেগুলো একটাও চলে না। আমি অবাক হয়ে যাচ্ছি যে এত বড় আন্দোলন শৌচালয় আর সিসি টিভির জন্য সেটাই লাগেনি এখনও। আরজি কর মামলা প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, আমরা তো এটাই বুঝতে পারছি না যে বিচার কোথায় হবে। যেখানে মামলা সুপ্রিম কোর্টে চলছে, সেখানে শিয়ালদা কোর্টের (Sealdaha Court)কি গুরুত্ব থাকতে পারে, যারা বিশেষজ্ঞ আইনের তারা বলতে পারবে। আমরা সাধারণ বুদ্ধিতে এটা বুঝতে পারছি না যে কেসটা কোথায় হবে।




Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মালদার জেল থেকে অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্তি পেলেন ১০৪ বছরের বৃদ্ধ

সরকারি পোর্টালে চুরি! ট্যাব কেলেঙ্কারিতে পুলিশের জালে আরও এক

শীতে কাবু জঙ্গলমহল, ঝাড়গ্রামে পর্যটকদের আনাগোনা শুরু

করিধ্যা পঞ্চায়েতের উপ সমিতির সদস্যপদ গেল তৃণমূলের দখলে

সুন্দরবনে পানীয় জল অপচয় বন্ধ করতে আসরে নামলেন বিডিও

ধর্মঘট শুরু হতেই হু হু করে  বাড়ল আলুর দাম, মাথায় হাত আমজনতার

Advertisement

এক ঝলকে
Advertisement




জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর