নিজস্ব প্রতিনিধি,মালদা ও ঝাড়গ্রাম: অগ্ৰহায়ণে অকাল বৃষ্টির ফলে মাথায় হাত মালদহের আলু চাষীদের। টানা একদিনের হালকা বৃষ্টির ফলে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে পুরাতন মালদা ব্লকের ভাবুক এবং মহিষবাথানি এই দুটি অঞ্চলে কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে আলু উৎপাদন হয়ে থাকে। এই মুহূর্তে ধান জমি থেকে তোলার কাজ শেষ হয়েছে। আলুর (Potato)বীজ বপন করার সময় অকাল বৃষ্টির ফলে ঘুম কেড়েছে কৃষকদের(Farmers)। মাথায় হাত, কারণ ব্যাংক থেকে কৃষি লোন নিয়ে বিঘার পর বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন পুরাতন মালদার আলু চাষীরা। অকাল বৃষ্টির ফলে অধিকাংশ আলুর বীজ মাটিতে পচে নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় কুরে কুরে খাচ্ছে কৃষকদের মনে।
যদিও কৃষকদের একাংশের দাবী, এখনো পর্যন্ত কৃষি দপ্তর বা প্রশাসন থেকে কেউ আসেননি। কারণ ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে আলু চাষ করেছি ।আর এখন যদি নষ্ট হয়ে যায় ,তাহলে লোন শোধ করব কিভাবে। আমাদের সরকারের কাছে আর্জি ব্যাংকের লোন যেন মুকুব করা হয়। অন্যদিকে,ডিসেম্বর মাস।ভরা শীতের মরসুমে টানা বৃষ্টি। বৃষ্টির জেরে ক্ষতির সম্মুখীন গোপীবল্লভপুরের(Gopiballavpur) সব্জি চাষি থেকে শুরু করে ধান চাষিরা।টানা ঝিরঝির বৃষ্টিতে সুবর্ণরেখা নদী(Subarnarekha River) তীরবর্তী গোপীবল্লভপুরের সব্জি চাষিরা প্রহর গুনছেন শীতের সব্জি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কাতে। ইতিমধ্যে ধবধবে সাদা ফুলকপির উপর কালো ছোপ পড়তে শুরু করেছে। উল্টে পড়ছে বাকড়া, টোপগেড়িয়া, আলমপুর, পিড়াশিমূল, ভট্টগোপালপুর সহ একাধিক গ্রামের চাষিদের মাঠের ফুলকপির গাছ। পাশাপাশি এই সময়টা চাষিদের মাঠের আমন ধান ঘরে তোলার পালা।
অসময়ের এই বৃষ্টির কারণে ধান জমির মাঠে জমেছে জল।বিঘার পর বিঘা আমন ধান জলে ভিজছে। চাষিদের দাবি বুধবার বিকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টির জল সব্জি এবং ধান চাষের জমিতে জমে রয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই মাঠের ধান অঙ্কুরিত হয়ে যেতে পারে বলে চাষিদের আশঙ্কা। পাশাপাশি শীতের ফুলকপির উপর বৃষ্টির জল পড়ায় সাদা ফুলকপির উপর কালো ছোপ পড়তে শুরু করেছে বলে দাবি গোপীবল্লভপুরের সুবর্ণরেখা নদী তীরবর্তী এলাকার চাষিদের।