নিজস্ব প্রতিনিধি: অনুব্রত মণ্ডলের প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে জেলে গিয়ে জেরা করার অনুমতি দিল সিবিআইয়ের বিশেষ আদালত। বর্তমানে আসানসোলের জেলে রয়েছেন গরুপাচার কাণ্ডে ধৃত সায়গল। সূত্রের খবর, সায়গল হোসেনকে জেলে গিয়ে জেরা করার অনুমতি চেয়ে আসানসোলের বিশেষ আদালতে আবেদন জানায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সেই আবেদনের ভিত্তিতে অনুমতি দেয় আদালত। আদালতের নির্দেশের পর, যে কোনও দিন জেলে গিয়ে সায়গল হোসেনকে জেরা করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি’র গোয়েন্দারা।
গরু পাচার মামলায় তদন্তে নেমে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এর আধিকারিকরা অনুব্রতের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পান। এরপর তাঁকে গ্রেফতার করেন গোয়েন্দারা। আদালতের নির্দেশে বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন বীরভূমের কেষ্টর প্রাক্তন দেহরক্ষী। তদন্তকারীদের দাবি, বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তাঁরা পেয়েছেন যে তথ্য অনুযায়ী সায়গল হোসেন গরু পাচারের সঙ্গে জড়িত। সম্প্রতি গরু পাচার মামলায় অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করার পর আদালতের নির্দেশে জেল হেফাজতে রয়েছেন কেষ্ট। আসানসোলের জেলে দিন কয়েক আগে অনুব্রত মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে যান সিবিআই আধিকারিকরা। ওইদিন সায়গল হোসেনকেও জেলের মধ্যে জিজ্ঞসাবাদ করেন গোয়েন্দারা। এবার সায়গল হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়ে অনুমতি পেল ইডি। মূলত গরু পাচার মামলায় টাকা লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ের তদন্ত করতে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান ইডির আধিকারিকরা।
গত অগস্ট মাসে গরুপাচার মামলায় প্রথম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। আসানসোল সিবিআই আদালতে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই আধিকারিকরা। চার্জশিটে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের পাশাপাশি নাম রয়েছে বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ মিশ্রের এবং আব্দুল লতিফ নামের এক সিণ্ডিকেট সদস্যের। এই তিনজন গরু পাচার কাণ্ডে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করত বলে চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই।