নিজস্ব প্রতিনিধিঃ পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে ইডির তল্লাশি। বৃহস্পতিবার সকালেই খাদ্যমন্ত্রীর মাইকেল নগরের বাড়িতে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি দল। সকাল সাড়ে ছটা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ইডির ৬ জনের একটি টিম এয়ারপোর্ট থানার অন্তর্গত মাইকেল নগরে খাদ্য মন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছয়। প্রায় তিনঘণ্টা ধরে টানা জিজ্ঞাসাবাদ এবং তল্লাশি অভিযান চলে মন্ত্রীর বাড়িতে।
রথীন ঘোষ দীর্ঘদিন মধ্যমগ্রাম পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। সেইসময় নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগের অভিযোগে তদন্ত করছে ইডি। মূলত ২০১৪ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত বেআইনি ভাবে পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় তথ্যের খোঁজে এই অভিযান। এই প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ বলেন, ‘‘এর আগেও তো বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়েছে। কিন্তু কিছু তো পাওয়া যায়নি।মঙ্গলবারের প্রতিক্রিয়া আজ পাওয়া যাচ্ছে। রাজভবন অভিযান অভিযানের মতোই চলবে।’’
শুধু রথীন ঘোষের বাড়ি নয়। রাজ্যের মোট ১২ টি জায়গায় তল্লাশিতে ইডি। এর মধ্যে কামারহাটি পৌরসভার পুরপ্রধান গোপাল সাহার বাড়ী রয়েছে। কামারহাটি পুরসভার তৃণমূলের পুর চেয়ারম্যান গোপাল সাহার অমৃতনগরের বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি। পাশাপাশি বরাহনগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিকের বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চলছে। দক্ষিণ দমদম পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই দত্তের বাড়িতেও তল্লাশি চলছে।টিটাগড়ের ১২ বছরের পুর চেয়ারপার্সন প্রশান্ত চৌধুরীর বাড়িতেও হানা দিয়েছে ইডি। মূলত যে পুরসভাগুলিতে কুন্তল ঘোষের এজেন্সির মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছে সেই পুরসভার আধিকারিকদের বাড়িতেই তল্লাশি।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবারই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে রাজভবন কর্মসূচি তৃণমূলের। জেলা থেকে নেতারাও যোগ দেবেন কর্মসূচিতে। তার আগে এই তল্লাশি ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন খাড়া করছে বলেই অভিমত রাজনৈতিক মহলের।