নিজস্ব প্রতিনিধি: কারোর বিদ্যুতের বিল (Electricity Bill) এসেছে ২৫ হাজার টাকা, কারোর বিল এসেছে ৩০, তো কারোর আবার ৫০ হাজার টাকা। আর স্বাভাবিকভাবে সেই অস্বাভাবিক বিল মেটাতে পারেননি ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি এলাকার দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারগুলি। একটি দুটি বাড়িতে নয়, বেলপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বামুনডিহা গ্রামের ডোমপাড়া বেশিরভাগ বাড়িতে এমন ভুতুড়ে কাণ্ড ঘটেছে। এদিকে বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থার তরফে পরিবারগুলির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। যার ফলে মাধ্যমিক (Secondary Examination 2023) ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার (Higher Secondary Examination 2023) আগে এমন ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন এলাকার পড়ুয়ারা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম জেলার বেলপাহাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বামুনডিহা গ্রামের ডোমপাড়া ঢেকেছে অন্ধকারে। কারণ এই পাড়ার দু একটি বাড়ি ছাড়া সমস্ত বাড়ির বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছে বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থা। পরিবারগুলি বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিল মেটাতে পারেনি, আর তাই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। গ্রামবাসীদের কারোর বিল এসেছে ২৫ হাজার টাকা, কারোর বিল এসেছে ৩০, তো কারোর আবার ৫০ হাজার টাকা। এমন অস্বাভাবিক হারে বিল আসায় তা মেটাতে পারেনি পরিবারগুলি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, অস্বাভাবিকহারে বিদ্যুতের বিল এসেছে। আলো ও পাখা চালিয়ে নূন্যতম বিদ্যুৎ খরচ করে কীভাবে এত পরিমাণ বিল আসতে পারে তা ভেবে কুল পাচ্ছেন না তাঁরা। ডোমের পেশার সঙ্গে যুক্ত গ্রামের বেশিরভাগ মানুষজন। কখনও ঝুড়ি বানিয়ে, কখনও ঢাক বাজিয়ে উপার্জন করেন তাঁরা। বর্তমানে কাজ না থাকায় অভাব অনটনে দিন কাটছে, সেই আবহে এমন বিলের জেরে আরও নাভিশ্বাস উঠেছে তাঁদের।
অন্যদিকে গ্রামের বহু বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার ঘটনায় বিপাকে পড়েছেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়ারা। বিষয়টি নিয়ে ঝাড়গ্রামের জেলা শাসক সুনীল আগরওয়াল আশ্বাস দেন, বিষয়টি নিয়ে বিদ্যুৎ দফতরের সঙ্গে কথা বলব।