নিজস্ব প্রতিনিধি: ভাল্লুকের পর হাতি। বন্যপ্রাণীর হানাদারিতে আবারও জনজীবন থমকে দাঁড়ালো ডুয়ার্সের বুকে। দিন দুই আগেই ভাল্লুকের হাতে এক কিশোরের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ডুয়ার্সের মেটেলি এলাকায়। বৃহস্পতিবার ফের হামলার আশঙ্কা জাগল ডুয়ার্সেরই লাটাগুড়ি বাজার এলাকায়। জলপাইগুড়ি জেলার পূর্ব প্রান্তের এই লোকালয়ে এদিন সকালেই হানা দিয়েছে ১৪টি হাতির একটি দল। গরুমারা অভয়ারণ্যের প্রবেশদ্বার হিসাবে চিহ্নিত লাটাগুড়িতে এদিন সকালেই হানা দেয় ওই হাতির দল। তার জেরে লাটাগুড়ি বাজার এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এই অবস্থায় জনতার সঙ্গে হাতির দলের যাতে কোনও রকমের সংঘর্ষের ঘটনা না ঘটে তার জন্য জেলা প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে লাটাগুড়ি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে দিল।
জানা গিয়েছে, যে হাতির দল লাটাগুড়ি এলাকায় হানা দিয়েছে তাঁদের মধ্যে ৪-৫টি বাচ্চা হাতিও রয়েছে। আর সেই কারনেই তাদের দেখতে লাটাগুড়ি এলাকায় আমজনতা ভিড় জমান। বাচ্চা সহ বুনো হাতির দলকে কাছ থেকে দেখার ইচ্ছা নিয়ে লাটাগুড়ি বাজারে কয়েকশো মানুষ ভিড় জমালে হাতির দলও ক্ষিপ্ত হইয়ে ঘন ঘন হুঙ্কার দিতে থাকে। তার জেরেই বনদফতরের কর্মী ও আধিকারিকেরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমজনতাকে বাড়ি ফিরে যেতে নির্দেশ দেন। আমজনতা যাতে সেই নির্দেশ মানতে বাধ্য হয় তার জন্য তাঁরা মাল মহকুমার মহকুমাশাসকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এর পরেই মহকুমাশাসক লাটাগুড়ি এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে দেন। এই ঘটনায় লাটাগুড়ির বাসিন্দা তথা তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ জানান, ‘আজ সকালে হাতির দল আমাদের জমিতে এসেছে। দলে বাচ্চা রয়েছে। এটা জঙ্গল সংলগ্ন এলাকা। তাই হাতি আসবার ঘটনা নতুন কিছু নয়। পুলিশ আর বনদফতরের কর্মীরা এসেছেন। এলাকা ঘিরে লোকদের সরানোর কাজ চালাচ্ছেন।’
এদিনের ঘটনায় অনারারি ওয়াইল্ড লাইফ ওয়ার্ডেন সীমা চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘হাতির ওই দলটিতে বাচ্চা সমেত ১২ /১৪ টি হাতি রয়েছে। আমাদের কর্মীরা সেখানে রয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। সম্প্রতি জলপাইগুড়ি শহরে দুটি হাতি ঢুকেছিল। এলাকার মানুষ আমাদের সঙ্গে তখন সহযোগিতা করেছিল। পরে হাতি দুটিকে আবার অক্ষত অবস্থায় জঙ্গলে ফেরানো হয়েছিল। আশা করছি এখানেও তেমনি ভাবে সহযোগিতা পাব।’