নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: রবিবার সকালে আচমকা ঢুকে পড়লো ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের হাঁড়িভাঙ্গা গ্রামে হাতির দল। আতঙ্কিত এলাকার বাসিন্দারা। ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম(Nayagram) ব্লকের জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আচমকা শনিবার রাতে সুবর্নরেখা নদী(Subarnarekha River) পেরিয়ে সাঁকরাইল ব্লকে রবিবার ভোর বেলা প্রবেশ করল হাতির দল। শনিবার রাতে সাঁকরাইল ব্লকের আন্ধারী, রোহিনী অঞ্চলের বেশ কয়েকটি গ্রামে তান্ডব চালায় হাতির দল। রবিবার ভোরে সাঁকরাইল ব্লকের ছত্রী অঞ্চলের হাঁড়িভাঙ্গা এলাকায় প্রবেশ করে হাতির দলটি।
এখন হাঁড়িভাঙ্গার জঙ্গলে(Harivanga Forest) আশ্রয় নিয়েছে ২০ থেকে ২৫ টি হাতির একটি দল। চাষিরা মাঠ থেকে পাকা ধান বাড়িতে তোলার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। সেই সময় হাতির দল এসে মাঠে গিয়ে পাকা ধান চাষের ব্যাপক ক্ষতি করে। যার ফলে ওই এলাকার চাষিরা চিন্তায় পড়েছেন। হাঁড়ি ভাঙার জঙ্গলে যাওয়ার আগে হাঁড়িভাঙ্গা এলাকার লোকালয়ে ঢুকে পড়ে হাতির দলটি। যার ফলে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই এলাকার গ্রামবাসীরা। হাতির দলে বাচ্চা হাতি রয়েছে বলেও জানা যায়। সেই সঙ্গে রবিবার সাতসকালে মাঠে গিয়ে কয়েক বিঘা জমির পাকা ধান নষ্ট করে দেয় হাতির(Elephant) দলটি। আচমকা হাতির দল গ্রামে চলে আসায় গ্রামবাসীরা হাতির হামলার আশঙ্কার পাশাপাশি মাঠে থাকা ফসলের ক্ষতির আশঙ্কাতে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েন।
গ্রামবাসীদের পক্ষ থেকে বিষয়টি বন দফতরকে জানানো হয়েছে।খবর পেয়ে বন দফতর এর কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হাতির দলের গতিবিধির উপর নজরদারি শুরু করে। সেই সঙ্গে বন দফতরের পক্ষ থেকে ওই এলাকার বাসিন্দাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের ওপর আক্রমণ যাতে গ্রামবাসীরা না করে তার জন্য প্রচার চালাচ্ছে বনদপ্তর(Forest Department) আর এই মুহূর্তে রবিবার দুপুরে হাতির দলটি জঙ্গলের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে । তবে গ্রামবাসীদের আতঙ্ক রাতের অন্ধকার নেমে এলেই ফের খাবারের সন্ধানে ওই হাতির দলটি হানা দিতে পারে গ্রামে। তাই পালা করে রাত জাগার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ওইসব এলাকার গ্রামবাসীরা। গামছা ঢাকা মুখগুলি এখন নেই। কিন্তু নতুন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়াচ্ছে হাতির হানা। যা কিনা নতুন করে ঘুম কাড়ছে জঙ্গলমহলবাসীর।