নিজস্ব প্রতিনিধি: রবিবার জামাই ষষ্ঠী (JAMAI SASTHI)। জামাই আদরে বাড়িতে বাড়িতে তোড়জোড়। চলছে কবজি ডুবিয়ে খাওয়া। একাধিক জিভে জল আনা স্বাদের পদ। এমন দিনে মানুষেরই জামাই ষষ্ঠী হবে, আর বাদ হাতি? তা মানতে নারাজ হাতির (ELEPHANT) দল। তারাও যে চায় পেট পুরে খেতে। আর সেই গণভোজন চলল শনিবার রাত থেকে রবিবার ভোর পর্যন্ত।
ঝাড়গ্রামের (JHARGRAM) পুকুরিয়া থানা এলাকার ঘটনা। হঠাৎই এলাকায় প্রবেশ করে ৭৫ টি ‘জামাই’ হাতি। ঢুকেই শুরু করে ভোজন। চলে পেট পুরে খাওয়া। মেনু? আম- কাঁঠাল- ফসল। শনিবার রাত থেকেই চলে উদরপূর্তি। এরপর রবিবার ভোরে প্রাতঃভ্রমণ! অবাক হচ্ছেন? কিন্তু তাই হয়েছে। জামাইদলের কীর্তিতে স্তম্ভিত গ্রাম!
৭৫ টি গজরাজ এলাকায় শনিবার ঢুকে খেয়ে ফেলে জমির ফসল- গাছের আম- কাঁঠাল। জমি থেকে গাছ সব ফাঁকা। রবিবার ভোরে গ্রামবাসীরা দেখতে পান বাড়ির উঠোনে ভেঙে পড়ে রয়েছে গাছের ডাল, ছড়িয়ে রয়েছে পাতা। বুঝতে বাকি থাকে না, তাণ্ডব চালিয়েছে হাতির দল। শুধু তাই নয়, একাধিক গ্রামেই অতিথিরা ছিল রবিবার ভোরেও। হাতিদের জামবনির জঙ্গলের দিকে পাঠানোর চেষ্টা করে হুলা পার্টি। পুকুরিয়া, শিমুলডাঙা, কুণ্ডলডিহি, বহড়াশুলি সহ একাধিক গ্রাম জুড়ে ঘুরে বেড়ায় হাতির দল। তারই মাঝে চলে আম- কাঁঠাল ভোজন। শনিবার রাতের ‘জামাই’ অভিযানে ক্ষতগ্রস্ত হয় বেশ কয়েকটি মাটির বাড়িরও।
গ্রামবাসীদের (VILLEGERS) আশঙ্কা, আবারও আসতে পারে হাতির দল। হাতির তাণ্ডবের খবর পেয়েই এলাকায় উপস্থিত হয়েছিলেন বনদফতরের (FOREST DEPARTMENT) আধিকারিক ও কর্মীরা। বনবিভাগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তৎপর দফতর। হাতির দলের ওপর নজর রাখা হয়েছে। গ্রামবাসীদের জঙ্গলে যেতে না বলা হয়েছে। সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।