এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

দীপক গ্রেফতারের পরেও সিবিআই তদন্তেই অনড় ঝালদা

নিজস্ব প্রতিনিধি: মাত্র ১২ ওয়ার্ডের ছোট এক পুরসভা। সেখানেই পুরনির্বাচনের পরে পরেই কিনা ঘটে গেল সম্ভাব্য পুরপ্রধানের খুনের ঘটনা। গত রবিবার পুরুলিয়া(Purulia) জেলার ঝালদা পুরসভায় খুন হন কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু(Tapan Kandu)। তপনবাবুকেই সামনে রেখে কংগ্রেস ঝালদা পুরবোর্ডের ক্ষমতা দখলের তোড়জোড় করছিল। কিন্তু তপনবাবু এর মধ্যে খুন হয়ে যাওয়ায় সব দিক থেকেই আঙুল ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। কেননা এবারে ঝালদা(Jhalda) পুরসভায় নির্বাচনের ফলাফল হয়েছিল ত্রিশঙ্কু। সেখানে তৃণমূল ও কংগ্রেস উভয়ের ৫টি করে আসন পায়। দুই নির্দলের সমর্থেন কংগ্রেস তপনবাবুকে সামনে রেখে পুরবোর্ড গঠনের তোড়জোড় করছিল। তৃণমূলও চেষ্টা করছিল ক্ষমতা দখল করায়। তপনবাবু খুন হয়ে যেতেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সহ তপনবাবুর পরিবার দাবি করে শাসক দলই এই খুন করিয়েছে আর সেটা ঝালদা পুরসভার ক্ষমতা দখলের লক্ষ্যেই। কিন্তু পুলিশ এই ঘটনায় তদন্তে নেমে তপনবাবুর দাদা নরেন কান্দু ও তার ছেলে দীপক কান্দুকে আটক করে। মঙ্গলবার দীপককে গ্রেফতারও করেছে পুলিশ। কিন্তু তপনবাবুর পরিবার এখনই সিবিআই(CBI) তদন্ত চাইছে ঘটনার সত্যতা তুলে আনার জন্য। সেই দাবিকে সমর্থন জানাচ্ছে ঝালদাবাসীও। এদিনই এই ঘটনায় তপনবাবুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন সিআইডি’র আধিকারিকেরা। 

দীপক কান্দু সাম্প্রতিককালে হয়ে যাওয়া পুরনির্বাচনে তপনবাবুর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিল। যদিও সে জেতেনি। এখন সে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ায় তপনবাবুর পরিবারের দাবি, গোটা ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক স্তরের ষড়যন্ত্রকে এখন পারিবারিক বিবাদ বলে দেখানো হচ্ছে। তাই তাঁরা সিবিআই তদন্ত চান। যদিও রাজ্য সরকার ইতিমধ্যেই পানিহাটির পাশাপাশি ঝালদার কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় সিআইডি(CID) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। মঙ্গলবার রাতেই ঝালদায় যায় সিআইডি-র প্রতিনিধি দল। আজ ঘটনাস্থলে যেতে পারেন তদন্তকারীরা। কথা বলতে পারেন তাঁরা তপনবাবুর পরিবারের সঙ্গেও। কার্যত মঙ্গলবার বিকালেই একজন স্পেশ্যাল সুপারিন্টেডেন্ট অফিসারের নেতৃত্বে ঝালদার পথে রওয়ানা দেয় সিআইডি’র টিম। যদিও এদিন সকালেও কংগ্রেসের পাশাপাশি ঝালদার আমজনতারও এই খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের জানিয়েছে। পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, দুই পরিবারের মধ্যে সমস্যা ছিল দীর্ঘদিনের। দীপক পুরভোটে তপনের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর পর সেই অশান্তি আরও বাড়ে। এরপরই পুরভোটের ফলপ্রকাশের পর তা ঠান্ডা লড়াইয়ের চেহারা নেয়।

ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ অবশ্য প্রথম থেকেই বলে আসছিল গোটা ঘটনা পারিবারিক বিবাদের জেরেই ঘটেছে। পরে পুলিশ প্রত্যক্ষদর্শী সুভাষ গরাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রথমে নরেন কান্দু ও দীপক কান্দুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। কিন্তু তাদের কথায় প্রচুর অসঙ্গতি ছিল প্রচুর। এরপরেই মঙ্গলবার রাতে দীপককে গ্রেফতার করে পুলিশ। উল্লেখ্য গত রবিবার সন্ধ্যায় ঝালদা পুরসভার পার্শ্ববর্তী গোকুলনগর গ্রামের কাছে ঝালদা-বাগমুন্ডি রোডের ওপর দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময়েই একটি বাইকে চেপে আসা ৩ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য গুলি করে। তাঁর পেটে গুলি লাগে। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রথমে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তপনবাবুর মৃত্যু হয়।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সিরিয়াল পোস্ট অফিস চুরির গ্যাংকে পাকড়াও করল হাবড়া পুলিশ

নবদ্বীপে ভাগীরথী নদীতে স্নান করতে নেমে মর্মান্তিক মৃত্যু ছাত্রের

অসুস্থ মেয়েকে চিকিৎসার জন্য গাড়িতে করে হাসপাতালে পাঠালেন তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সরেন

ধুপগুড়িতে খেলার মাঠ বন্ধ করে দেওয়ায় জাতীয় সড়ক অবরোধ খেলোয়াড়দের

বাংলাদেশী সন্দেহে ৩৪৭ দিন জেলবন্দী ২ আদিবাসী মহিলা সহ তাদের শিশুরা

৪ বারের চেষ্টায় ইউপিএসসিতে সফল, তাক লাগিয়ে দিলেন শ্রীরামপুরের মেয়ে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর