নিজস্ব প্রতিনিধি: আগামী ১৯ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে চব্বিশের লোকসভা নির্বাচন। চলবে ১ জুন পর্যন্ত, সাত দফায়। মোদী সরকারকে বদল চান, নাকি মোদী সরকারকেই চান দেশবাসী, সেটাই ভোটযুদ্ধের ফলাফলে নিশ্চিত হবে। ভোটকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই চারিদিক সরগরম। কোনও দলই এক ইঞ্চি জমি খালি করতে নারাজ। তাই প্রায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও শাসক-বিরোধী দলগুলির মধ্যে বিক্ষোভ লেগেই রয়েছে। আর এই যুদ্ধে বলি হচ্ছে নিরীহ মানুষরা। ভোটের মুখে ভয়াবহ কাণ্ডে নাম উঠল খড়গপুরের।খড়গপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর অঞ্জনা সাকরের স্বামীকে লাঠি-রড দিয়ে পিটিয়ে শূন্যে গুলি চালিয়ে পালাল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীরা।
ঘটনায় কাউন্সিলরের স্বামী পা এবং কোমরে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। তিনি এখন খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ভোটের মুখেই এমন ঘটনা স্বাভাবিকভাবেই উত্তেজনা ছড়িয়েছে খড়গপুরে। ঘটনার বর্ননা দিয়ে প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর জানিয়েছে, সোমবার সকালে সন্তানকে স্কুলে পৌঁছে দিতে যান তাঁর স্বামী। সেখান থেকে ফেরার পথে তাঁকে কয়েক জন অজ্ঞাতপরিচয়ের যুবক জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন এলাকায় হাত দেখিয়ে দাঁড় করায়। এরপরই তাঁর স্বামীকে মারধর করা হয়। তিনি এখন হাসপাতালে শয্যাশায়ী। তাঁর স্বামীর পা এবং কোমরে রড, লাঠি দিয়ে মারা হয়েছে এবং পরে শূন্যে গুলি চালিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। কেন তাঁর স্বামীর উপর হামলা চালানো হল, এর পেছনে কোনও রাজনৈতিক শত্রুতা আছে কি না, তা তদন্ত করছে পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার (এসপি) ধৃতিমান সরকারের নেতৃত্বাধীন দলবল।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেছেন খড়্গপুরের বিধায়ক তথা ঘাটালের বিজেপি প্রার্থী হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলরের স্বামীকে মারধরের ঘটনা, সত্যি লজ্জাজনক খবর। যতদিন তিনি এলাকার বিধায়ক হিসেবে ছিলেন দুষ্কৃতীরা মাথাচাড়া দিতে পারেনি। নির্বাচনের জন্য ঘাটালে যাওয়ার পর থেকেই এমন ঘটনা ঘটছে। ভোট হওয়ার পর সবকিছু আবারও শান্ত করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন হিরণ।