এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

পাওয়েল-বিবেককে ঘিরে উদ্বেগে রায়গঞ্জ ও ইংরেজবাজার

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজায় রাজায় যুদ্ধ হয় আর উলুখাগড়ার প্রাণ যায়। কিন্তু এই উলুখাগড়াদের কথা আর কেই বা ভাবে! রাজারা তো শুধু যুদ্ধ করেই মরে। উত্তরবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর(Uttar Dinajpur) জেলার সদর শহর রায়গঞ্জের(Raiganj) রামকৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা পাওয়েল দাস আর মালদা(Malda) জেলার সদর শহর ইংরেজবাজারের(Englishbazaar) কুতুবপুর এলাকার বাসিন্দা বিবেক চন্দ্র দে হল সেইরকমই দুই উলুখাগড়া। এদের নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তিত নন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি এখন প্রবল প্রতাপে হামলা চালাচ্ছেন ইউক্রেনের ওপর। আর সেই ইউক্রেনেই এখন আটকে পড়েছে এদেশ থেকে সেখানে পড়তে যাওয়া, বা চাকরি করতে যাওয়া কিংবা ব্যবসার কাজে যাওয়া প্রায় ২০ হাজার ভারতীয়(Indian)। যাদের মধ্যে রয়েছে পাওয়েল দাস ও বিবেক চন্দ্র দে-ও। তাঁদের ঘিরেই এখন উদ্বেগ বাড়ছে রায়গঞ্জ ও ইংরেজবাজারে।

পাওয়েলের বাবা অসীম কুমার দাস মারা যান ২০০৪ সালে। তখন পাওয়েলের বয়স খুবই কম। সেই সময় থেকেই জ্যেঠু রথীন দাসের কাছেই থাকা শুরু পাওয়েলের। রথীনবাবু পেশায় হেলথ ইন্সপেক্টর। কার্যত তাঁর অভিভাবকত্বেই পাওয়েলের বেড়ে ওঠা। এখন পূর্ব ইউক্রেনের(Ukraine) টারনোফিল শহরের টারনোফিল ন্যাশনাল মেডিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে ডাক্তারী পড়ছে পাওয়েল। কিন্তু এখন সেখানে যে যুদ্ধ লেগেছে তার জেরে কার্যত চোখের ঘুম আর মনের শান্তি চলে গিয়েছে দাস পরিবারের সদস্যদের। বিশেষ করে রথীনবাবু ও পাওয়েলের মা পেশায় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী অনুপমা দাসের। গত ৩ বছর ধরে ইউক্রেনে রয়েছে পাওয়েল(Paowel Das)। কিন্তু কোনওদিনও এইরকম সমস্যার মুখে তাঁকে পড়তে হয়নি। কিন্তু রাতারাতি একটা যুদ্ধ সব পরিস্থিতি বদলে দিয়েছে। ইউক্রেনে যুদ্ধের খবর টিভিতে দেখতে পেয়ে চরম উৎকন্ঠার মধ্যে রয়েছে দাস পরিবার। ফোনে বারবার পাওয়েলের সঙ্গে কথা বলছেন অনুপমা দেবী থেকে আত্মীয়স্বজন সকলেই। ভারত সরকারের(India Government) কাছে ছেলেকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার আর্জিও সংবাদমাধ্যমের মধ্য দিয়ে জানিয়েছেন দাস পরিবার। আগামী ৭মার্চ বিমানের টিকিট রয়েছে পাওয়েলের। বাড়ির ছেলে সুস্থ অবস্থায় এখন বাড়িতে ফিরে আসার কামনায় টিভির পর্দায় নজর রেখে দিন গুনছেন রামকৃষ্ণপল্লীর দাস পরিবার।

একই অবস্থা বিবেক চন্দ্র দে’র পরিবারেও। ইউক্রেনের খারকিভ শহরে আটকে পড়েছেন বিবেক। কিয়েভ থেকে এই শহরের দূরত্ব সড়কপথে প্রায় ৬ ঘন্টার মতন। বিবেক মেডিকেল পড়ুয়া। তার সগে এদেশের আরও কিছু পড়ুয়া আছে। এরা সকলেই এখন আটকে পড়েছে ইউক্রেনে। সেখানে এখন না আছে জীবনের নিরাপত্তা না আছে ভারতে ফেরার মতো অবস্থা। যদিও ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে নিরন্তর যোগাযোগ রেখে চলেছে তারা। সকলে মিলে একটা ফ্ল্যাটেই আছেন। কিন্তু থেকে থেকেই চমকে উঠছে তারা সাইরেনের আওয়াজে। যে আওয়াজ বলে দিচ্ছে বিমানহানা শুরু করেছে রাশিয়া। জীবনকে হাতের মুঠোয় করে মুহুর্তের মধ্যে তখন দৌড়াতে হচ্ছে বেসমেন্টে প্রাণ বাঁচানোর তাগিদে। আর ইংরেজবাজারে বসে ছেলের এই চরম সঙ্কটময় অবস্থায় কার্যত ভগবানের নাম স্মরণ করে চলেছেন বিবেকের বাবা বিশ্বনাথ দে ও মা দেবযানী দে। দুইজনের এখন একটাই আবেদন, ভারত সরকার দ্রুত তাঁদের ছেলেকে নিরাপদে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করে দিক রাশিয়া ও ইউক্রেন সরকারের সঙ্গে কথা বলে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাধ্যমিকের ফলপ্রকাশ ২ মে, উচ্চমাধ্যমিকের ৮ তারিখ

বেনজির কাণ্ড, বীরভূমে বিজেপির হয়ে মনোনয়ন জমা দুই প্রার্থীর

ম্যাচ ফিক্সিংয়ের মতো বিজেপি ‘অর্ডার ফিক্সিং’ করছে, তোপ অভিষেকের

অভিজিৎকে নিশানা বানিয়ে দেবাংশুকে বড় দায়িত্ব দিলেন মমতা

তমলুকে মমতার নিশানায় অভিজিৎ, বাদ পড়লেন না বিকাশও

ফের দুয়ারে ভোট, শান্তিপুর-ফুলিয়ার তাঁত শিল্পীরা হতাশার অন্ধকারেই দিন কাটাচ্ছেন

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর