নিজস্ব প্রতিনিধি, দার্জিলিং: নিজের মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন বাবা। বছরের শেষদিনে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভরতনগরের। শিলিগুড়ুির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের বাড়ির কাছেই বাড়ি পার্থ রায়ের। তাঁর ছেলে সুভাষ দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক ভারসাম্যহীনতায় ভুগছিল। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে ছেলের জন্য বিরিয়ানি নিয়ে আসেন তিনি। তাতেই মিশিয়ে দেন ঘুমের ওষুধ। এরপর গভীর রাতে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলেকে শ্বাসরোধ করে খুন করে নিজেও গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হন পার্থ রায়। একই বাড়িতে থাকা সত্ত্বেও কেউই বিষয়টি বিন্দুমাত্র টের পাননি বলেই দাবি পরিবারের সদস্যদের। শুক্রবার সকালে সকলে টের পান ঘটনা। জানাজানি হতেই এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছেলের চিকিৎসার জন্য বহু জায়গায় গিয়েছেন পার্থবাবু। শেষে কলকাতায় এনে চিকিৎসা করাতে কিছুটা সুস্থ হয়েছিল সুভাষ। কিন্তু কয়েকমাসের মধ্যেই ফের সমস্যা তৈরি হয়। এতেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন পার্থবাবু। পরিবারের সদস্যদের দাবি, ২২ বছরের ছেলেকে দিন দিন অবসাদের অন্ধকারে ডুবে যেতে দেখে, বাবা হিসেবে পার্থবাবুও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। এর থেকেই তিনি এই কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে অনুমান পরিবার ও এলাকাবাসীর। তবে দুটি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শিলিগুড়ির পুলিস কমিশনারেট। বছরের শেষ দিনে এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।