নিজস্ব প্রতিনিধি: ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা বর্তমান বিসিসিআই চিফ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের(Sourav Gangully) বাড়িতে এসেছিলেন বিজেপির নম্বর টু নেতা তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ(Amit Shah)। শুক্রবার রাতে তিনি সৌরভের বাড়িতে নৈশাহার করে রওয়ানা দেন দিল্লির পথে। সেই ঘটনা নিয়ে শনিবার সকালে ফেসবুকে(Facebook Post) খুব কদর্য ভাষায় সৌরভকে আক্রমণ শানেন হুগলি জেলার বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক তথা দলিত সাহিত্যিক মনোরঞ্জন ব্যাপারী(Monoranjan Bapari)। সেই পোস্ট ঘিরে কার্যত রাজ্য জুড়ে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। সেই সঙ্গে ওঠে ছিঃ ছিঃ কার রব। দলমত নির্বিশেষে সবাই নিন্দাকরে সৌরভকে আক্রমণ শানানোর এই ভাষা ও ঘটনা নিয়ে। এবার সেই ঘটনার জেরেই মুখ খুললেন রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)। কার্যত সাংবাদিকদের কাছে এই বিষয়ে নিজের মতামত জানিয়ে আদতে মনোরঞ্জনকেই সহবত শেখালেন তিনি। একইসঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন দল তাঁর সঙ্গে একমত নয়।
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে নিয়ে এদিন ঠিক কী লিখেছিলেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী তাঁর ফেসবুক পোস্টে? মনোরঞ্জন লিখেছেন, ‘সৌরভকে নিয়ে আমার কোনও দিন তেমন কোনও উন্মাদনা কোনও কালে ছিল না। আলালের ঘরের দুলাল। ব্যাট দিয়ে ভাল বল ঠুকতে পারে। সে নিয়ে আর যাই হোক দেশ, জাতি, মানুষের কোনও হিত-মঙ্গল হয় না। মাত্র সে কোটি কোটি টাকা কামিয়ে নিতে পারে। তাই সৌরভকে নিয়ে আমার কোনও আবেগ ছিল না। কিন্তু আজকের যখন সে এক চরম বাঙালী বিদ্বেষী বাংলা ভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি বিরোধী- বাংলা ভাগের চক্রান্তকারী ব্যাক্তিকে আদর আপ্যায়ন করে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ভুরিভোজ করায় – সৌরভকে নয়, যারা তাকে বাঙালির আইকন বলে ধেই ধেই নাঁচে তাদের দেখে করুনা হয়।’
এই পোস্ট নিয়ে এদিন সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেছিলেন রাজ্যের পরিবহণ, আবাসন এবং পুর ও নগরোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে। সেই সময়েই ফিরহাদ জানান, ‘কার কে সমালোচনা করেছে, তা-ও আবার ব্যক্তিগত স্তরে, তা আমি জানি না। তবে কেউ কাউকে বাড়িতে আপ্যায়ন করতেই পারে। এটা খুব একটা বড় ব্যাপার বলে আমি মনে করি না। সৌরভ বাংলার গর্ব। সৌরভ প্রায়ই দিদির কাছে গিয়ে কথা বলে আসে। দিদিই তো সৌরভকে বলেছে, অতিথিকে দই, রসগোল্লা খাওয়াতে। আমি জানি না ও খাইয়েছে কি না! আমার বাড়িতে যদি কেউ আসেন, আমার তো তাঁকে আপ্যায়ন করা উচিত। এটাই তো বাঙালিদের সৌজন্য।’ ফিরহাদের এই বক্তব্য দেখে এখন অনেকেই মনে করছেন তিনি আদতে দলের বিধায়ককেই সহবতের পাঠ দিয়েছেন।