নিজস্ব প্রতিনিধি: রাজ্য মন্ত্রিসভার(State Cabinet) বৈঠকেই বৃহস্পতিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে(Partha Chattopadhay) অপসারণ করার। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও(Mamata Banerjee)। ওই বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী যেমন একদিকে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হাতে থাকা ৩টি দফতর আপাতত তিনিই দেখবেন, তেমনি রাজ্যের মুখ্যসচিব বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পার্থ’র অপসারণ নিশ্চিত করেন। আর এখানেই প্রশ্ন উঠেছে পার্থ’র হাতে থাকা ৩ দফতর মুখ্যমন্ত্রী আপাতত নিজের কাছে রাখলেও আগামী দিনে এই ৩ দফতর কাদের হাতে যেতে চলেছে তা নিয়ে। কেননা মুখ্যমন্ত্রী এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ইঙ্গিত দিয়েছেন আগামী দিনে রাজ্যের মন্ত্রিসভায় রদবদল করার। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য মন্ত্রিসভায় ৪জন নতুন মুখ উঠে আসতে পারেন। এরা হলে বাবুল সুপ্রিয়(Babul Supriya), মণীষ গুপ্ত(Manish Gupta), নির্মল ঘোষ(Nirmal Ghosh) এবং তাপস রায়(Tapas Roy)। সেই সঙ্গে কিছু মন্ত্রীর দফতরের রদবদলের ঘটনাও হবে। বিশেষ করে যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে রয়েছে সেই সব মন্ত্রীর ভার লাঘব করা হতে পারে বলেই জানা গিয়েছে নবান্ন সূত্রে।
বাবুল সুপ্রিয় বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছেন। তাঁকে সম্ভবত তথ্য-প্রযুক্তি দফতরের মন্ত্রী করা হতে পারে। মণীষ গুপ্ত এখন বিধায়ক নন। কিন্তু মন্ত্রী হওয়ার আগে বা মন্ত্রী হওয়ার ৬ মাসের মধ্যে রাজ্য বিধান্সভার সদস্য বা বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হতে হয়। এখন রাজ্যের মধ্যে একমাত্র কলকাতার মানিকতলা বিধানসভা কেন্দ্রের আসনটি ফাঁকা আছে। সেই আসনে আগে বিধায়ক ছিলেন অধুনা প্রয়াত রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। সেই আসনের উপনির্বাচনেই মণীষ গুপ্তকে প্রার্থী করা হতে পারে বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। নির্মল ঘোষ ও তাপস রায় দুইজনই অবশ্য বিধায়ক। নির্মলবাবু পানিহাটি বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক এবং তাপসবাবু বরানগর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক। এদের মধ্যে নির্মলবাবুকে ক্রেতা সুরক্ষা দফতরের মন্ত্রী করা হতে পারে। তাপসবাবু পেতে পারেন পরিষদীয় দফতরের দায়িত্ব। আবার মণীষবাবু মানিকতলায় প্রার্থী হলে এবং সেই নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে তাঁকে শিল্প-বাণিজ্য দফতরের মন্ত্রী করা হতে পারে বলেই তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে।