এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

রাত পোহালেই ২ কোটি ১৬ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বর্ধিত লক্ষ্মীর ভান্ডার

Courtesy - Facebook and Google

নিজস্ব প্রতিনিধি: রাত পোহালেই ১ এপ্রিল। অনেকেই এইদিনটিকে মানুষকে বোকা বানাবার দিন হিসাবে চিহ্নিত করেন। কিন্তু বাংলার(Bengal) বুকে আগামিকালই চূড়ান্ত এক বাস্তবের সন্মুখীন হতে চলেছেন ২ কোটি ১৬ লক্ষ মহিলা(2 Crore 16 Lakhs Women)। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকারের সাড়া জাগানো প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের(Lakhir Bhandar) বর্ধিত ভাতা কার্যকর হচ্ছে নয়া অর্থবর্ষের প্রথম দিন থেকেই। অর্থাৎ আগামিকাল থেকে। তবে প্রতি বছরের মতো এবারও ১ এপ্রিল ব্যাঙ্ক বন্ধ থাকায় উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে টাকা পৌঁছতে লেগে যাবে আরও একদিন। তবে মোট ২ কোটি ১৬ লক্ষ মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বর্ধিত হারে ভাতা পৌঁছবে ২ অথবা ৩ এপ্রিলের মধ্যেই। নবান থেকেই তা নিশ্চিত করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা বলেন, তা তিনি করে দেখান। যে কথা তিনি দেন, সেই কথা তিনি রাখেন। লক্ষ্মীর ভান্ডারও তার অন্যথা নয়।

লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পে এতদিন যারা ৫০০ টাকা করে পেতেন, এবার থেকে তাঁরা পাবেন মাসে ১০০০ টাকা করে বছরে ১২০০০ টাকা। আর যারা ১০০০ টাকা করে পেতেন তাঁরা পাবেন ১২০০ টাকা করে বছরের ১৪৪০০ টাকা। লক্ষ্মীর ভান্ডারের এই বর্ধিত খাতের দরুন চলতি মার্চ মাসে যেখানে রাজ্য সরকারের খরচ হয়েছিল ১ হাজার ১৮৭ কোটি টাকা, তা এক লাফিয়ে এপ্রিল মাসে হতে চলেছে ২ হাজার ২২৮ কোটি। বছরে এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য সরকারের খরচ(Yearly Expenditure) হতে চলেছে ২৬ হাজার কোটি টাকারও(26 Thousands Crore Rupees) বেশি। বিরোধীরা লাগাতার ভাবে এই লক্ষ্মীর ভান্ডার নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে গিয়েছে, চালিয়ে যাচ্ছেও। কিন্তু নানান সমীক্ষা প্রমাণ করে দিয়েছে, মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডার গ্রাম বাংলার অর্থনীতির বড় খুঁটি হয়ে উঠেছে। রাজ্যের অর্থনীতিতে এর সরসরি ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে। কেননা যে টাকা রাজ্য সরকার এই প্রকল্পের জন্য খরচ করছে তার প্রায় পুরোটাই খোলা বাজারে চলে আসছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ার জন্য। সমীক্ষা বলছে, লক্ষ্মীর ভান্ডারের উপভোক্তারা মাসে মাসে এই টাকা হাতে পেয়ে নানা ধরনের কাজে লাগাচ্ছেন।

নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের হাতে প্রতিষ্ঠিত প্রতীচী ট্রাস্টের সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের প্রায় ২২.৭ শতাংশ উপভোক্তা সংসার খরচ চালাতে এই টাকা কাজে লাগিয়েছেন। প্রায় ৪২ শতাংশ উপভোক্তা টাকা খরচ করেছেন ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য। প্রায় ৩৫.৩ শতাংশ মহিলা পোশাক, প্রসাধনী, খাওয়া-দাওয়ার মতো নিজেদের সাধপূরণ করতে খরচ করেছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা। সব মিলিয়ে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়েছে। গ্রাম বাংলার বুকে টাকার যোগান বেড়েছে। কেন্দ্র সরকার ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে দিলেও তা গ্রাম বাংলার বুকে হাহাকান এনে দেয়নি। তার থেকেও বড় কথা গ্রাম বাংলার মহিলাদের কিছুটা হলেও আর্থিক ভাবে সুদৃঢ় করে তুলেছে। বিরোধীরা তাই হাজার চেষতা করলেও মমতার লক্ষ্মীর ভান্ডারকে দাবিয়ে রাখতে পারছে না। বরঞ্চ বিরোধীদের ঘরের মেয়েরাই যে লক্ষ্মীর ভানাডার ও স্বাস্থ্যসাথীর মতো সুবিধা পেয়েও মমতার বিরোধিতা করছে সেটা সন্দেশখালির রেখা পাত্র প্রমাণ করে দিচ্ছেন।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

মাধ্যমিকের মেধা তালিকায় দাপট জেলার, এগিয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনা

কোন্নগরে বৃদ্ধার মৃতদেহ আগলে বসে স্ত্রী-মেয়ে, এলাকায় ছড়াল দুর্গন্ধ

তিন দিন ধরে আত্মজার মৃতদেহ আগলে, অবশেষে বুধবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গর্ভধারিনী

তৃণমূল-কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ, চলল গুলি ! ভোটের আগেই উত্তপ্ত খড়গ্রাম   

রায়গঞ্জে ভোঁতা হল ভিক্টর অস্ত্র, সংখ্যালঘুরা জোড়াফুলেই

‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’, অধীরকে তোপ অভিষেকের

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর