নিজস্ব প্রতিনিধি: গ্রাম বাংলার ভোট মিটে যেতেই গ্রামের মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee) সরকার। রাজ্যে গ্রামের মানুষদের(Rural People) চালু হচ্ছে Online-এ Property Tax বা সম্পত্তি কর দেওয়ার সুবিধা। অর্থাৎ কর জমা করতে আর ছুটে যেতে হবে না গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসে। হাতে স্মার্ট ফোনে থাকলেই বা বাড়িতে কম্পিউটার থাকলেই বাড়িতে বসেই জমা দেওয়া যাবে সম্পত্তি কর। এর আগে অনলাইনে খাজনা জমা করার পরিষেবা উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর গ্রামের মানুষের জন্য আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অনলাইন পরিষেবা চালু করতে চলেছে তাঁর সরকার। সূত্রের খবর, সব ঠিক থাকলে পুজোর আগেই গোটা রাজ্যে এই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে। তবে পাইলট প্রজেক্ট শুরু হয়ে যাবে আগামী মাসের গোড়াতেই। এখন গ্রামাঞ্চলে নতুন পঞ্চায়েত বোর্ড গঠনের ব্যস্ততা থাকবে। কিন্তু শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদে সেই ঝামেলা নেই। তাই এই এলাকায় নয়া পরিষেবার পাইলট প্রজেক্ট শুরু করতে চাইছে রাজ্য।
রাজ্যের ৩৩৩৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতে এক যোগে শুরু হবে Online-এ Property Tax দেওয়ার সুবিধা। ইতিমধ্যে এ সংক্রান্ত প্রাথমিক কাজ সেরে ফেলেছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতর। এতদিন শুধুমাত্র পুরসভা এলাকায় এই সুবিধা মিলত। অনেক মানুষ আছেন, যাঁদের পৈতৃক বাড়ি গ্রামে। তাঁরা কর্মসূত্রে কলকাতায় বা রাজ্যের বাইরে থাকেন। এই পরিষেবা চালু হলে তাঁদের আর কর জমা দিতে গ্রামে ছুটে যেতে হবে না। সেই সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়প্রমাণ বকেয়া পড়ে থাকার সমস্যাও কমবে। এখন পঞ্চায়েত কার্যালয়ে গিয়ে সরাসারি সম্পত্তি কর জমা দেওয়া হয়। তাছাড়া Tax Collector-রা বাড়ি বাড়ি গিয়েও সম্পত্তি কর সংগ্রহ করেন। এই কর সংগ্রাহকদের সংখ্যাটা প্রায় সাড়ে ৪ হাজার। নবান্ন সূত্রে খবর, এখন থেকে তাঁদের কাছে থাকবে একটি করে QR Code এবং পস মেশিন। সেই QR Code Scan করে বা পস মেশিনের মাধ্যমে ATM Card দিয়েও জমা দেওয়া যাবে সম্পত্তি কর।
নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলার শুধুমাত্র পঞ্চায়েত এলাকা থেকে বছরে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা আসে রাজ্যের কোষাগারে। এর সিংহভাগই আসে সম্পত্তি কর থেকে। এই পদক্ষেপের পর রাজ্যের কোষাগারে অর্থাগম আরও বাড়বে বলেই আশাবাদী প্রশাসনিক মহল। সম্পত্তি কর জমা দেওয়া ছাড়া আরও নানা কাজের জন্য জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে টাকা জমা দিতে আসেন বহু মানুষ। সেসব ক্ষেত্রেও QR Code পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। কাউন্টারের বাইরের থাকবে সেই কোড। মোবাইল ফোনে স্ক্যান করে জমা দেওয়া যাবে বিল্ডিং প্ল্যান, টেন্ডার, লিজ ইত্যাদির টাকা। সারাদিনে গোটা রাজ্যে কত টাকা জমা পড়ল, তা সরাসরি কম্পিউটারে দেখতে পাবেন পঞ্চায়েত ও অর্থ দফতরের পদস্থ কর্তারা।