এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

গঙ্গাসাগরের কপিলমুনির মন্দিরের সামনে নদী বাঁধে ভাঙ্গন

নিজস্ব প্রতিনিধি,গঙ্গাসাগর:মঙ্গলবার সকাল থেকে উত্তাল সাগর থেকে সমুদ্র, আকাশে দুর্যোগের মেঘ, ব্লক প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপকূল তীরবর্তী এলাকাগুলিতে চলছে মাইকিং।আবারও কি সুন্দরবন এলাকা প্লাবিত হতে চলেছে,ভয়ংকর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে চলেছে এলাকার মানুষ, প্রশ্ন এলাকাবাসীর। প্রচন্ড বৃষ্টি যেন যাই যাই করে যাচ্ছে না, ঘুরে ফিরে আবার আসছে তারফলে আতঙ্কের সুন্দরবন(Sundarban) উপকূলীয় তীরবর্তী এলাকার মানুষজন।নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে দুর্যোগ অব্যাহত। রাতভর এক নাগাড়ে বৃষ্টি হয়েছে সমগ্র জেলাজুড়ে। এর মধ্যে সুন্দরবন উপকূলে বৃষ্টির পরিমাণ বেশী।

আজ সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমান খানিকটা কম থাকলেও নদী ও সমুদ্র উপকূলে বইছে ঝোড়ো হাওয়া। মেঘাচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে আকাশ। আজও সমুদ্র উত্তাল থাকায় নদী ও সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে মৎস্যজীবীদের।অন্যদিকে, দুর্যোগ মোকাবিলায় নবান্ন থেকে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, মহকুমা শাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হয়, তাতে নির্দেশ দেওয়া হয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে তৈরী থাকতে। ইতিমধ্যে সুন্দরবনে সব ব্লকে মাইকিং করে সতর্কতামূলক প্রচার শুরু হয়েছে। জেলার প্রতিটি ব্লক অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম(Controll Room)। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলি খুলে দেওয়া হয়েছে আগামী কয়েকদিনের জন্য। সুন্দরবন উপকূলের কাঁচাবাড়ির বাসিন্দাদের ঘূর্ণিঝড়(Cyclone) আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রচার চালান হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন তীরবর্তী এলাকা গুলিতে ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। গঙ্গাসাগরের কপিলমুনি মন্দির সংলগ্ন ৫০০ মিটার মাটির নদীবাঁধে ভাঙ্গন। সমুদ্র উত্তল থাকার কারণে পর্যটকদের সমুদ্র নামার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ব্লক প্রশাসন। এছাড়াও পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে মাইকিং এর মাধ্যমে পর্যটক ও পুণ্যার্থীদের সতর্ক করা হচ্ছে।

রাতে আরো জল বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।এদিকে ব্লকে পর্যাপ্ত ত্রাণও মজুত রাখা হচ্ছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সুন্দরবনের দুর্বল নদী বাঁধগুলির ওপর নজরদারি চালাচ্ছে সেচ দফতর। বড় কোন বিপর্যয় হলে দ্রুত জেলা ও রাজ্য প্রশাসনকে জানাতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে জেলার সৈকত পর্যটনকেন্দ্র গুলিতে আসা পর্যটকদের সমুদ্র ও নদীতে নামার ওপরেও মহকুমা প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করতেপারে বলেও জানা যাচ্ছে। এ বিষয়ে স্বপন কুমার দাস স্থানীয় বাসিন্দা তিনি বলেন, কোটাল ও সমুদ্র উত্তল থাকার কারণে গঙ্গাসাগরে কপিল মুনি মন্দির সংলগ্ন ২ দু’নম্বর রাস্তা থেকে পাঁচ নম্বর রাস্তা পর্যন্ত প্রায় ৫০০ মিটার সমুদ্র সৈকতের মাটির নদী বাঁধ ভেঙে গিয়েছে। দ ওই ফাটল থেকে সমুদ্রের জল এলাকায় প্রবেশ করছে। স্থায়ী কংক্রিটের নদী বাঁধলে তবেই বাঁচবে গঙ্গাসাগরের কপিলমনি মন্দিরের ভাঙ্গন রোধ করা না গেলে আগামী দিনে হয়তো কপিল মুনি মন্দির নদী গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে। নদী বাঁধ ভাঙ্গনের খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে আসে সুমতিনগর ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিপিন পড়ুয়া। তিনি এসে উপকূল তীরবর্তী এলাকায় যে সকল স্থানীয় ব্যবসায়ীরা রয়েছে সে সকল ব্যবসায়ীদের নিরাপদ আশ্রয় চলে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন গোটা বিষয় সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা ইতিমধ্যেই রাজ্যের সেচ দপ্তরকে জানিয়েছেন দ্রুততার সাথে ওই নদী বাঁধের কাজ শুরু করবে সেচ দপ্তর।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

লকেট রচনা দ্বৈরথের আড়ালে লুকিয়ে কৃষি-শিল্পের বিবাদ, সাক্ষী সিঙ্গুর

দীর্ঘ ১৩ মাস পর মুর্শিদাবাদে নিজের বাড়িতে ফিরলেন বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা

মানিকচকের মথুরাপুর হাটে বিক্রি হচ্ছে সরকারি ত্রাণের ত্রিপল, তদন্তের নির্দেশ জেলা শাসকের

বনগাঁতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে ৫৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নামল

দুর্গাপুর থানার পুলিশ গ্রেফতার করল বাইক চুরি চক্রের পান্ডাকে, উদ্ধার ৬’টি মোটরসাইকেল

শান্তি আর উন্নয়নের স্বার্থে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল এবার পার্থ’র পাশে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর