এই মুহূর্তে

গঙ্গা গিলে খাচ্ছে মহেশটোলা, নদীগর্ভে ৩০টি বাড়ি

নিজস্ব প্রতিনিধি: দেশের প্রখ্যাত গায়ক ভূপেন হাজারিকা দেশের মন জয় করে নিয়েছিলেন ‘গঙ্গা আমার মা, পদ্মা আমার মা’ গানটি গেয়ে। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে মুর্শিদাবাদ(Murshidabad) জেলার জঙ্গিপুর মহকুমার সামশেরগঞ্জ(Samserganj) থানার বোগদাদনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মহেশটোলা(Maheshtola) গ্রামে গিয়ে দাঁড়ালে মনে হবে না ‘গঙ্গা আমার মা’। পরিবর্তে মনে হবে ‘রাক্ষসী গঙ্গা’ গিলে খাচ্ছে মহেশটোলাকে। কেননা এদিন সেখানে ভয়াবহ ভাঙন(Ganges Erosion) শুরু হয়েছে। হাজারো জনতার চোখের সামনে এদিন তলিয়ে গিয়েছে একের পর কাঁচা-পাকা বাড়ি। আবারও সর্বস্বান্ত হয়ে রাস্তায় নেমে এসেছে খুব কম করেও ৫০টি পরিবার। গ্রামবাসীদের আশঙ্কা, ভাঙন আরও বাড়বে। রাক্ষসী গঙ্গা গিলে খাবে আরও বাড়িকে। আরও জমিকে।

গত প্রায় দু-আড়াই বছর ধরে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ ব্লকের বিস্তীর্ণ অঞ্চল গঙ্গা নদীর ভয়াবহ ভাঙনের সম্মুখীন হয়েছে। এই ব্লকের মহেশটোলা, শিবপুর, প্রতাপগঞ্জ সহ একাধিক গ্রাম গঙ্গা নদীর ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়ে প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার মুখে দাঁড়িয়ে আছে। ওই ওই গ্রামগুলোতে গৃহহীন হয়েছেন প্রায় ২ হাজারের বেশি বাসিন্দা। গঙ্গা নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে প্রায় কয়েক হাজার বিঘা জমি। ভাঙন প্রতিরোধের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য বরাদ্দ না হলেও মাস দুয়েক আগে মালদা-মুর্শিদাবাদ সফরে গিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee)। সেই সময় তিনি এই ভাঙন প্রতিরোধের জন্য ১০০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই টাকায় কোনও কাজই হয়নি। জেলা প্রশাসনের দাবি, পঞ্চায়েত ভোটের বিধিনিষেধ জারি থাকায় বর্ষার আগে কাজ শুরুই করা যায়নি। আর এখন নদীতে জল খুব বেশি থাকায় ভাঙন প্রতিরোধের কাজ সেভাবে করা যাচ্ছে না।

আর এর নিট রেজাল্ট, এদিন সকাল সাড়ে আটটা থেকে শুরু হওয়া ভাঙনে বেলা ১১টার মধ্যে প্রায় ৩০টি কাঁচাপাকা বাড়ি ও দোকানঘর নদী গর্ভে তলিয়ে যায় সকলের চোখের সামনে। যদিও বাড়িগুলি আগেই খালি করে দেওয়া হয়েছিল। তাই প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেনি এদিন। কিন্তু যে ক্ষতিসাধন হল ওই ৫০টি পরিবারের তার কোনও ক্ষতিপূরণ জুটবে না হয়তো কোনওদিনই। নতুন করে শুরু হওয়া এই ভাঙনে মহেশটোলা গ্রামের বাসিন্দারা কার্যত এদিন দিশাহীন হয়ে পড়েছেন। কিছু বাসিন্দা স্থানীয় প্রাথমিক স্কুলে আশ্রয় নিয়েছেন। এদিন গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ভাঙন প্রতিরোধের জন্য ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হলেও তার লাভ কিছুই হয়নি। কিছুদিন আগে নদীতে যখন জল বাড়ছিল সেই সময় কিছু বালির বস্তা ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের কাজ করার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু বোল্ডার দিয়ে কাজ না করায় ভাঙন প্রতিরোধ করা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে জানা গিয়েছে, ভাঙনের জেরে মহেশটোলা-ধুলিয়ান রাজ্য সড়ক আগেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। নতুন করে আজকের ভাঙনে রাস্তাটির আরও ক্ষতি হওয়ায় ওই পথ দিয়ে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে আমরা ইতিমধ্যেই ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে ত্রাণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সোমে ফের জেলা সফরে মমতা, মুর্শিদাবাদের পাশাপাশি যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গে

মালদার রতুয়ায় ৫০০ শতাধিক কংগ্রেস কর্মী সহ প্রাক্তন প্রধান যোগ দিলেন তৃণমূলে

বন্ধ কারখানার শ্রমিক আবাসনের ঘর থেকে দুই শ্রমিকের দেহ উদ্ধার

বেলডাঙায় জলের পাইপ কেটে দেওয়াকে কেন্দ্র করে অশান্তিতে ধারালো অস্ত্রের কোপে মৃত্যু মহিলার

বঙ্গে বৃহস্পতিবার থেকে তাপমাত্রা বাড়বে, জেলায় কুয়াশার প্রভাব থাকবে

জাল ফেলতেই নদী থেকে উদ্ধার তরুণীর বস্তাবন্দি দেহ, ঘনাচ্ছে রহস্য

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর