নিজস্ব প্রতিনিধি: রবিবার রাতে মিষ্টির দোকান(Sweet Shop) বন্ধ করার পর ওই দোকানের ৮জন কারিগর(Sweet Makers Artisans) ঘুমোতে চলে যান। মিষ্টির দোকানের পিছনের ঘরে গোডাউনেই ঘুমোচ্ছিলেন তাঁরা। মাঝরাতে হঠাৎ সকলের শ্বাস নিতে কষ্ট হলে দোকানের মালিক মিলন মণ্ডলকে বিষয়টি ফোন করে জানান এক কর্মী। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পৌঁছন মিলন। গোডাউনের দরজায় ধাক্কা দিতে শুরু করেন তিনি। কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভাঙতে বাধ্য হন দোকানের মালিক। তারপরেই ৮জন কর্মীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় গোডাউন থেকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী দুর্গাপুর মেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই দুই কারিগরকে মৃত(Death) বলে ঘোষণা করা হয়। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটেছে রাজ্যের ইস্পাতনগরী দুর্গাপুর(Durgapur) শহরের স্টিল টাউনশিপের বি-জোন(B-Zone) এলাকার উইলিয়াম কেরি(William Carry Avenue) সংলগ্ন একটি মিষ্টির দোকানের গোডাউনে।
জানা গিয়েছে, ঘটনায় মৃত দুই মিষ্টির কারিগর হলেন অতনু রুইদাস(২২) ও বিধান মণ্ডল(২১)। বাকি ৬জন কারিগর আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন দুর্গাপুর মেন হাসপাতালে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে দম আটকেই মৃত্যু হয়েছে ওই দুই কারিগরের। ঘটনার প্রসঙ্গে দোকানের মালিক মিলন মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘ফোনে খবর পেয়েই ছুটে চলে আসি। দরজা ভিতর থেকে বন্ধ ছিল। ১৫-২০ মিনিট ধরে ডাকাডাকি করার পর দরজা ভাঙতে হয়। দরজা খুলে দেখি যিনি আমায় ফোন করে ডেকেছিলেন, তিনি অচেতন অবস্থায় দরজার সামনে পড়ে রয়েছেন।’
কী ভাবে গোডাউনের ভিতর দমবন্ধ হয়ে কর্মীরা জ্ঞান হারালেন, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে অনুমান করা হচ্ছে, গোডাউনের ভিতরে রাখা গ্যাস সিলিন্ডার লিক করেই এই ঘটনা ঘটেছে। সেই গ্যাস গোটা ঘরে ছড়িয়ে গেলে দম বন্ধ হয়ে যায় দোকানের কর্মীদের। তবে এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুর্গাপুর থানার পুলিশ। এই বিষয়ে আসানসোল দুর্গাপুর থানার পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি তথাগত পাণ্ডে জানিয়েছেনন, ‘সম্ভবত মিষ্টির দোকানের যে উনুনে রাতের দিকে কয়লা দিয়ে রাখা হয়, তার বিষাক্ত ধোঁয়া থেকেই এই ঘটনা ঘটেছে।’