নিজস্ব প্রতিনিধি, গোপীবল্লভপুর : পকলেন দিয়ে দেদার বালি তোলা চলছিল নদীর পাড়েই। সারি দিয়ে লম্বা লাইন জঙ্গলমহলের ঝাড়গ্রাম সংলগ্ন গোপীবল্লভপুরের আঠাঙ্গি বালি ঘাটে। ঠিক তখন বিশাল বাহিনী নিয়ে এসডিপিও(SDPO) কৃষ্ণগোপাল মিনা ঘটনাস্থলে পৌছে যান। পালানোর আর তখন কোনো রাস্তা নেই। আাটক করা হয় বেআইনি বালি বোঝাই লরি, পকলেন সব।
মুখ্যমন্ত্রীর সাবধান বার্তার পর ও খুব একটা কাজ হচ্ছিল না। স্থানীয় নেতা ও প্রশাসনের একাংশের মদতে বেআাইনি বালি পচার হচ্ছিল নিয়মিত। তা নিয়ে একাধিক বার গ্রামবাসীরা ক্ষোভ বিক্ষোভ ও দেখিয়েছেন। অবশেষে ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার(SP) এর নির্দেশে গোপীবল্লভ পুরের এসডিপিও টানা তাল্লাশি শুরু করেন বালি খাদান গুলোতে।
সুবর্নরেখা নদীর বালি খাদন গুলো থেকে বেআইনি ভাবে বালি তোলার জন্য ১১ টি বালি বোঝাই লরি, ৮ টি পকলেন ও ২টি ট্রাক্টর সহ মোট ২১ টি গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে SDPO জানান। বেআইনি বালি কারবারের বিরুদ্ধে অভিযান চলবে লাগাতার। এ নিয়ে পরপর পাঁচটি জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বেআইনি বালি সমেত বহু গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এক টানা এই অভিযানে কিছুটা থমকেছেন বালি মাফিয়ারা। তবে তা কতদিন? প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
তবে জঙ্গলমহলের গোপিবল্লভপুর এলাকায় এই বালি চুরির ঘটনা প্রশাসন রুখলেও রাজ্যের অন্যত্র এই অপকর্ম চলছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) প্রশাসনকে বালি, পাথর ও মাটি চুরি রুখতে, কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।