নিজস্ব প্রতিনিধি: উত্তরবঙ্গের রাজভবনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানালেন রাজ্যপাল। বুধবার মুখ্যমন্ত্রীকে চায়ের আমন্ত্রণ জানান জগদীপ ধনকড়। রাজ্যপালের আমন্ত্রণে দার্জিলিং রাজভবনে গিয়ে সাক্ষাৎ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য-রাজ্যপাল সঙ্ঘাতের আবহে এদিন রাজভবনে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান ও সাংবিধানিক প্রধান সাক্ষাৎ করেন।
মঙ্গলবার জিটিএ’র বোর্ড গঠনের সময় পাহাড়ে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বুধবারও পাহাড়ে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন নেপালি ভাষার কবি ভানু ভক্তের জন্মদিন উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে যোগ দেওয়ার পর রাজ্যপালের আমন্ত্রণে রাজভবনে যান তিনি। উল্লেখ্য বুধবার কবি ভানুভক্তের ২০৮ তম জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠানে কবির মূর্তিতে মাল্যদান এবং পুষ্পার্পণ করেন করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর বক্তৃতা দেওয়ার সময় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভানু ভক্ত বড় কবি ছিলেন। তিনি আরও বলেন ভেদাভেদ ছাড়তে বার্তা দিয়েছিলেন ভানু ভক্ত। মমতা বন্দ্যোপাধযায় এদিন অনুষ্ঠান থেকে বলেন, ‘ভেদাভেদ করার জন্য কোনও বড় মানুষের জন্ম হয় না। যে মানুষরা মহান হন তাঁরা হৃদয় থেকে বড় হন, মানবিক হন। তাঁরা কখনও ভেদাভভেদ করেন না। সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে থাকেন।’
অন্যদিকে বুধবারও রাজ্য সরকারকে আক্রমন করতে ছাড়েননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এদিন সাড়ে সকাল ১০টা নাগাদ বাগডোগরা বিমানবন্দরে(Bagdogra Airport) নামেন তিনি। তারপর সেখান থেকে দুপুর ১টা নাগাদ পৌঁছন দার্জিলিঙে। বৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গে রাজভবনে জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপাকে (Anit Thapa) শপথবাক্য পাঠ করাবেন রাজ্যপাল। তার আগে এদিন বাগডোগরায় নেমে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আক্রমণ শাণান রাজ্যপাল। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান এদিন বলেন, ‘আমাদের রাজ্যের শাসন ব্যবস্থা নিয়ে সমস্যা রয়েছে। এটা প্রায় সবার জানা। কারও কাছে এটা অজানা নয়। ভয়ের কারণে কেউ এনিয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারেন না। এমনকী, মিডিয়াও এই নিয়ে মন্তব্য করতে পারে না।’