নিজস্ব প্রতিনিধি, নদিয়া: সবুজ সাথীর সাইকেল চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল নদিয়ার হাঁসখালির কৈখালি। তৃণমূল চুরির প্রতিবাদ করলে বিজেপির তরফে গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। ঘটনায় গুলিবিদ্ধ পাঁচজন। তাঁদের দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁদের কলকাতার অ্যাপোলো ও এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তৃণমূলের বুথ সভানেত্রী ও তাঁর ছেলে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা।
তৃণমূলের অভিযোগ, পেশায় শিক্ষক এক বিজেপি কর্মী সবুজ সাথী প্রকল্পের সাইকেল চুরি করে বিক্রি করে দিচ্ছিলেন। হাতেনাতে ধরে তার প্রতিবাদ করেছিল কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ, তখনই অতর্কিতে গুলি চালায় বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আহত হন তৃণমূলের দুই কর্মী। এরপর তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলারও অভিযোগ তোলে বিজেপি। তাদের দাবি, হামলায় আহত হয়েছেন দুই বিজেপি কর্মী। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে, কল্যাণী হাসপাতালে দুই বিজেপি কর্মীকে নিয়ে যাওয়া হলে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। দোষীদের গ্রেফতারির দাবিতে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালের সামনে রানাঘাট উত্তর পূর্বের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সমীর পোদ্দারের নেতৃত্বে রাত থেকে অবস্থানে বসেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা।
ঘটনায় বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল শুধু আমাদেরকেই মারছে না, নিজেদের মধ্যেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ছে। হাঁসখালির ঘটনাও তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। পুলিশ এফআইআর নেয় না। একসময়ের বিহারের মতো অবস্থা পশ্চিমবঙ্গের।’ যদিও তৃণমূলের দাবি, বিজেপির দুর্নীতির প্রতিবাদ করে গুলিবিদ্ধ হতে হল। সমীর পোদ্দারের কথায়, ‘বিজেপি বাংলাকে উত্তরপ্রদেশ করতে চাইছে, যা বাংলার মানুষ কোনওদিনই হতে দেবে না।’