এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

সিংমারিতে অনশনে গুরুং, পাত্তা দিচ্ছে না কেউ

নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়(Mamata Banerjee) চলতি বছরে দার্জিলিং গিয়ে সেখান থেকেই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন খুব দ্রুত পাহাড়ে জিটিএ’র(GTA) নির্বাচন করিয়ে নেওয়া হবে। সেই নিয়ে তিনি পাহাড়ের রাজনৈতিক দলগুলিকে নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকও করেন। সেই বৈঠকে কিন্তু কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার(GJMM) তরফে। পরিবর্তে চলতি মাসে জিটিএ নির্বাচন স্থগিত রাখার আর্জি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেন মোর্চা সুপ্রিমো বিমল গুরুং(Bimal Gurung)। এমনকি পাহাড়ের একটি রাজনৈতিক দলের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করা হয় জিটিএ ভোট আটকাতে। যদিও আদালত এই নির্বাচনে হস্তগত করতে রাজি হয়নি। তার জেরেই গতকাল জিটিএ নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে দেওয়া হয়। আগামী ২৬জুন পাহাড়ে জিটিএ’র ভোট হতে চলেছে। ২৯জুন হবে তাঁর গণনা ও ফলাফল ঘোষণা। কোনও ভাবেই যে নির্বাচন আটকানো যাবে না সেটা বুঝে নিয়ে বুধবার থেকে দার্জিংয়ের সিংমারিতে আমরণ অনশনে(Hunger Strike) বসলেন গুরুং। কিন্তু পাশে গুটিকয় অনুগামী ছাড়া আর কেউ নেই। কার্যত পাহাড়ের কেউ গুরুংয়ের এই অনশনকে পাত্তাও দিচ্ছে না।

এদিন সকালে সিংমারিতে মোর্চার দলীয় কার্যালয়ের বাইরে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করে সেখানেই আমরণ অনশনে বসেন গুরুং। তবে দলীয় কার্যালয়ের বাইরে গুরুংয়ের এই অনশন আন্দোলনের যোগ দিতে বা সমর্থন করতে সেই অর্থে ভিড় দেখা যাচ্ছে না। গুটিকয় দলীয় কর্মী র‍য়েছেন গুরুংয়ের সঙ্গে। এদিন অনশন মঞ্চ থেকে গুরুং সাংবাদিকদের জানান, ‘রাজ্য সরকারকে যে দস্তাবেজ দিয়েছিলাম, সে নিয়ে রাজ্য সরকার কোনও উচ্চবাচ্য করেনি। তাই জিটিএ নির্বাচন আমরা মানছি না। আমাদের দল জিটিএ নির্বাচনে অংশ নেবে না। ৩৯৬টি মৌজার যে প্রস্তাব আমরা দিয়েছিলাম তার কোনও সদুত্তর মেলেনি। কেন্দ্রীয় সরকার একাধিকবার রাজনৈতিক সমাধানের কথা বলেছে। কিন্তু কিছুই হয়নি। এখন আমরা ভরসা রাখছি রাজ্যের ওপর। কেন্দ্রের ওপর আর কোনও আস্থা নেই। জাতির জন্য আহুতি দিয়েছি আগেও। আমার সর্বস্ব চলে গিয়েছে এই গোর্খা জাতির জন্য। অবশিষ্ট রয়েছে প্রাণটুকু। সেটাও লুটিয়ে দেব আমরণ অনশনে। আমরা চাই রাজ্যের সঙ্গে সম্পর্ক যেন খারাপ না হয়। ২০২৪ এবং ২০২৬ সালে নির্বাচন রয়েছে। সে জন্য সুসম্পর্ক বজায় রাখা প্রয়োজন।’

তবে লক্ষ্যণীয় বিষয় যে পাহাড় একসময় গুরুংয়ের কথায় উঠত বসত চলত, আজ সেই পাহাড় কার্যত নিরুত্তাপ গুরুংয়ের এই অনশন আন্দোলন নিয়ে। যে পাহাড়ের কার্যত অঘোষিত সম্রাট বনে গিয়েছিলেন গুরুং, সেই পাহাড়ে আজ আর তাঁর ছিঁটেফোঁটা প্রভাব অবশিষ্ট নেই। কার্যত তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ারও এখন বিশ বাঁও জলে চলে গিয়েছে। মোর্চার অস্তিত্বও আজ প্রশ্নের মুখে। কেননা পাহাড়ে একের পর এক নির্বাচনে ধরাশায়ী হচ্ছে মোর্চা। এখন আবার তাঁরা জিটিএ নির্বাচনে অংশ নেবে না বলেও জানিয়েছে। এই অবস্থায় পাহাড়ের আমজনতা যদি জিটিএ নির্বাচনে বিপুল ভাবে অংশ নেন তাহলে মোর্চার পক্ষে আগামী দিনে ক্ষমতা ফিরে পাওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। যারা জিটিএ ভোটে জিতবে তাঁরাই হয়ে উঠবে পাহাড়ের নয়া শাসক। গুরুংয়ের কাছে শেষ সুযোগ এসেছিল এই নির্বাচনে অংশ নিয়ে কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়ানোর। দুর্ভাগ্য তিনি সেই পথে হাঁটা দিলেন না।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

কোন্নগরে বৃদ্ধার মৃতদেহ আগলে বসে স্ত্রী-মেয়ে, এলাকায় ছড়াল দুর্গন্ধ

তিন দিন ধরে আত্মজার মৃতদেহ আগলে, অবশেষে বুধবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন গর্ভধারিনী

তৃণমূল-কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ, চলল গুলি ! ভোটের আগেই উত্তপ্ত খড়গ্রাম   

রায়গঞ্জে ভোঁতা হল ভিক্টর অস্ত্র, সংখ্যালঘুরা জোড়াফুলেই

‘চোরে চোরে মাসতুতো ভাই’, অধীরকে তোপ অভিষেকের

‘ইন্ডিয়া’র বড় গদ্দার উনি, সকালে বিজেপির পা ধরেন, বিকেলে সিপিএমের পা ধরেন’, আক্রমণ মমতার

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর