নিজস্ব প্রতিনিধি,হরিশ্চন্দ্রপুর: বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন সন্তানের মা তথা পরিচারিকার সঙ্গে সহবাস এবং জোরপূর্বক ভাবে গর্ভপাত করানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মালদা জেলার(Malda District) হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিতোল গ্রামের প্রভাবশালী তথা অবসর প্রাপ্ত এক সরকারি কর্মচারীর বিরুদ্ধে।
বছর পঁয়ত্রিশের ওই নির্যাতিতা মহিলা হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়(Harishchandrapur P.S.) লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন সেখ তৈমুর রহমান(৮১)ওরফে গ্রামসেবক এর বিরুদ্ধে। অভিযোগের পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন অভিযুক্ত তৈমুর রহমান।এই নিয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,ওই নির্যাতিতা মহিলার স্বামী প্রায় দুই বছর ধরে ভিন রাজ্যে কর্মরত ছিলেন।অভাবের সংসার।দুই মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে তৈমুর রহমানের(Taimur rahaman) বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করে কোনোরকমে দিন গুজরান করতেন ওই মহিলা।
দারিদ্রতার সুযোগকে হাতিয়ার করে বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি ও টাকার প্রলোভন দেখিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে একাধিকবার যৌন সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তৈমুর বলে অভিযোগ।বর্তমানে তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা।সেই কারনে তিনি তৈমুরকে বিয়ের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন।কিন্তু সে এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করছে।এমনকি তৈমুরের পরিবারের লোকেরা তাকে হুমকিও দিচ্ছে বলে অভিযোগ।নির্যাতিতার অভিযোগ,বিয়ের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে তৈমুর রহমান তার সঙ্গে একাধিকবার যৌন সম্পর্ক করেছে।এর ফলে তিনি পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরেছে।এখন বিয়ে করতে অস্বীকার করছে তৈমুর।
পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বার কথা জানতে পেরে তৈমুরের ছেলে ও পুত্রবধূ জোরপূর্বক ভাবে ডাক্তারের কাছে গর্ভপাত করাতে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।গর্ভপাত করাতে অক্ষম হলে তিন দিন ধরে তাকে লুকিয়ে রাখে।এই বিষয়ে কারো কাছে মুখ খুললে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।