নিজস্ব প্রতিনিধি,হরিশ্চন্দ্রপুর: পারিবারিক অশান্তি ছিলই। তার জেরে হামেশাই বধূকে নির্যাতন করা হত বলে অভিযোগ। অশান্তির জেরে এবার অন্তঃস্বত্ত্বা বধূর শরীরে ফুটন্ত কড়াইয়ের জল ঢেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইসলামপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার দুপুরের ঘটনা। টুম্পা সাহা নামে ওই বধূর আর্ত চিৎকারে ছুটে এসে স্থানীয়রাই তাকে হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করান। ঘটনার পর এলাকা ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন স্বামী।
কিন্তু ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা তাড়া করে তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানায়, ধৃতের নাম দুলাল সাহা। শুধু প্রতিবেশীরাই নন। দুলালের কান্ডে ক্ষুব্ধ তার আত্মীয়েরাও। গ্রেফতারের পর তার সঙ্গে থানায় কেউই দেখা করতে যাননি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। জামিন পাওয়ার পর বধূ না চাইলে দুলালকে এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হবে না বলেও হুমকি দিয়েছেন বাসিন্দারা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চার বছর আগে মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ইসলামপুর গ্রামে দুলালের সঙ্গে বিয়ে হয় বিহারের আমদাবাদের বাসিন্দা টুম্পার। তার দুই শিশুপুত্র রয়েছে।
এ ছাড়া তিন মাসের অন্তঃস্বস্ত্বাও টুম্পা। বিয়ের পর থেকেই টুম্পাকে তার শাশুড়ি ও স্বামী কারণ-অকারণে নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ। গত কয়েকদিন ধরে নির্যাতন আরও চরমে উঠেছিল। তার শাশুড়ি একটি পাত্রে জল রেখেছিলেন। সেই জল উল্টে দেন টুম্পার ছেলে। এরপর সেই পাত্রটিকে টুম্পা খাটের তলায় রেখে দেন। টুম্পা পাত্রটি নিজের বাক্সে লুকিয়ে রেখেছে বলে ছেলে দুলালের কাছে নালিশ করেন। তখন টুম্পা তা খাটের তলায় রেখেছেন বলে জানান। কিন্তু মা-ছেলের কথার মাঝে কেন টুম্পা কথা বলছেন তা নিয়ে তাকে শাসাতে থাকেন দুলাল। এরপরেই ফুটন্ত কড়াইয়ের জল পিছন থেকে তার শরীরে ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মর্মান্তিক এই নির্যাতনের ঘটনায় তাই ক্ষিপ্ত গোটা গ্রামবাসী।