নিজস্ব প্রতিনিধি: গরু পাচার মামলায় রক্ষাকবচের আবেদন চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অনুব্রত মন্ডল। অনুব্রত মণ্ডলের(Anubrata Mandal) রক্ষাকবচ সংক্রান্ত মামলার রায়দান স্থগিত রাখল উচ্চ আদালতের(High Court) ডিভিশন বেঞ্চ। বুধবার প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি ছিল। দু’পক্ষের সওয়াল-জবাব শেষ হলেও ডিভিশন বেঞ্চ রায় ঘোষণা করেনি এদিন। আদালতে অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে এদিন ডিভিশন বেঞ্চে সওয়াল করেন মধ্যপ্রদেশ সরকারের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল বিবেক তানখা।
বুধবার হাইকোর্টে শুনানির সময় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার(CBI) আইনজীবী এমবি রাজু বলেন, ১৫ মার্চ সিবিআই দফতরে হাজিরার নোটিস পেয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। ফলে, ১৬ মার্চের এই আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। এর জবাবে অনুব্রতর আইনজীবী বিবেক জানান, একবার নয়, বিভিন্ন সময় অনুব্রতকে নোটিস পাঠানো হয়েছে। সেই নোটিসের জবাবও দেওয়া হয়েছে। অনুব্রতর আইনজীবীর অভিযোগ, সিবিআই নিজের ক্ষমতা ব্যবহার করে, তদন্তের নামে হেনস্তা করছে। বীরভূম জেলা তৃণমুল সভাপতির আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, অনুব্রত মূল অভিযুক্ত নন, অন্যতম সাক্ষী। সে ক্ষেত্রে কাছাকাছি হাজিরার জায়গা নির্ধারণ করতে সিবিআইয়ের অনীহা কেন? কেন ২০০ কিমি দূরে যেতে হবে?
সিবিআইয়ের আইনজীবী এদিন আদালতে বলেন, অনুব্রত মন্ডল বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বারবার হাজিরা এড়াচ্ছেন। তিনি স্বাস্থ্যের দোহাই দিচ্ছেন। অথচ, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় তাঁকে জনসভা করতে দেখা যাচ্ছে। বক্তব্যের প্রেক্ষিতে ছবি ও নথিও আদালতে পেশ করেন সিবিআইয়ের আইনজীবী। অনুব্রত স্বাস্থ্য ও করোনার কথা বললেও যে মাস্ক পরেন না, সেই ছবিও আদালতের নজরে আনেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী। সিবিআইয়ের তরফে যে হাজিরা এড়ানোর অভিযোগ তোলা হয় তা খণ্ডন করে অনুব্রতর তরফে এদিন বলা হয়, ‘আমি তদন্তে সহযোগিতা করতে চাই। আমি তদন্তে ব্যাঘাত ঘটাতে চাই না। কিন্তু আদালত রক্ষাকবচের বিষয়টা বিবেচনা করুক।’ এর পরেই ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি শেষ হয়।