নিজস্ব প্রতিনিধি: রেলশহর খড়গপুরে ফের প্রকাশ্যে দ্বন্দ। দলের ইস্তেহার প্রকাশেও দিলীপের উপস্থিতির জেরে গরহাজির থাকলেন অভিনেতা-বিধায়ক হিরণ। মেদিনীপুর লোকসভার অন্তর্গত খড়গপুর সদর পুরসভার বিধায়ক হিরণ। একুশের নির্বাচণের শেষে দলের ভাঙন চলার মাঝেই ক্রমশ দূরত্ব বেড়ে যায় বিধায়ক হিরণ ও সাংসদ দিলীপ ঘোষের। যা বিগত কিছুদিনে দ্বন্দে পরিণত হয়েছে। একজন উত্তরে গেলে অপরজন যান দক্ষিণে। সেই দ্বন্দের আরও একটি চিত্র ধরা পড়ল খড়গপুর পুরসভার ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে।
শনিবার সন্ধেয় খড়গপুরে পৌঁছন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের মণ্ডল কার্যালয়ে পৌঁছন তিনি। সেই জায়গায় প্রার্থী অসন্তোষ নিয়ে কিছুদিন আগেই হামলা চালায় বিজেপি নেতারা। সেখানে গিয়েই দলের কর্মীদের ক্ষোভ মেটানোর চেষ্টা করেন দিলীপ ঘোষ। তারপরে খড়গপুর পুরসভার ১৯ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডে প্রচার করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। তারপরেই খড়গপুরে রাতে ইস্তেহার প্রকাশ করেন বিজেপি নেতৃত্ব। যদিও সেই ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন না স্থানীয় বিধায়ক হিরণ। যা নিয়ে ফের চরম দ্বন্দ প্রকাশ্যে। সাংসদ এবং বিধায়কের মতবিরোধের কথা অজানা নয় কারও। এর আগেও দু’জনকে একই অনুষ্ঠানে দেখতে পাননি কেউই। খড়গপুর পুরসভায় ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী হিরণ। তাই দলেরই ইস্তেহার প্রকাশে কেন হাজির ছিলেন না? উত্তরে বিধায়ক জানান, ‘ওই সময় বাড়ি বাড়ি প্রচার করছিলাম। তাই যাওয়া সম্ভব হয় নি। মূল্যবান সময় বের করে সাংসদ এসেছিলেন এটাই যথেষ্ট। আমরা গর্বিত।’
অপরদিকে রাতে যখন খড়গপুরেই বিজেপির ইস্তেহার প্রকাশ করা হচ্ছে তখনই বিরাট ভাঙন দেখা গিয়েছে। প্রায় ২০০ বিজেপি কর্মী তৃণমূল যুব কংগ্রেসের যোগদান করেন।