নিজস্ব প্রতিনিধি: তৃণমূলে ফিরছেন কী হিরণ? এই প্রশ্নটা ডানা মেলেছে অনেকবারই। কিন্তু কোনওবারই হিরণ নিজে তা অস্বীকার করেছেন। এখন তাঁর বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার ঘটনার জেরে সেই জল্পনা আবারও ডানা মেলেছে। কিন্তু এবার মুখ খুলেছেন তিনি। আর খুলতেই বিস্ফোরণ। বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের বিরুদ্ধে রীতিমত ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। আর সেই জায়গাতেই মিলেছে ইঙ্গিত, হিরণ আছেন উন্নয়নের পক্ষে। আর এই অবস্থানের জন্যি এখন রাজ্য রাজনীতিতে রীতিমত শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অনেকেই মনে করছেন হিরণ আদতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফেরার ইঙ্গিতই দিয়ে দিলেন। যদিও তৃণমূলের তরফে এখনও কেউ এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি।
এদিন হিরণ দিলীপ ঘোষের পাশাপাশি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে জানিয়েছেন, ‘দল আমাকে সংগঠনের কোনও কাজে লাগায় না। বঙ্গ বিজেপির বড় বড় নেতারা মনে করেন আমাকে দরকার নেই। যেখানে উন্নয়ন হবে, সেখানে আছি। উন্নয়নে বাধা দিলে প্রতিবাদ জানাব। দিলীপ ঘোষ খড়গপুরে এসে সভা করেন। ইচ্ছামতো দল চালান। আমাকে কিছু জানান না।’ হিরণের এই বক্তব্যের মধ্যে ‘যেখানে উন্নয়ন হবে, সেখানে আছি’ এই শব্দবন্ধ থাকায় অনেকেই এখন মনে করছেন হিরণ আদতে তৃণমূলে ফেরার ইঙ্গিতই দিয়ে দিলেন। তবে দিলীপ ঘোষ জানিয়েছেন, তিনি খড়গপুরে যান দলের কাজে। তাই সবাইকে সব কিছু জানাবার প্রয়োজন তিনি বোধ করেন না। বিধায়কেরই উচিত দলের কাজকর্ম নিয়ে খোঁজ রাখা ও দলের কর্মসূচীতে হাজিরা দেওয়া। তিনি যদি তা না করেন তাহলে তাঁকেও দলের কেউ সব কিছু জানাতে যাবে না। বস্তুত এখন এটা পরিষ্কার দিলীপের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরেই হয়তো খুব শীঘ্রই দলবদল করতে পারেন হিরণ। তবে তিনি চাইলেই যে তৃণমূলে ফিরতে পারবেন এমন কথাও জোর গলায় কেউ বলতে পারছে না এখনই।