নিজস্ব প্রতিনিধি: দাম্পত্যে অশান্তি ছিল। নিত্যদিন তাই লেগে থাকত কোন্দল। শেষে কিনা স্ত্রীকে শায়েস্তা করতে সুপারি কিলার(Supari Killer) দিয়ে তাঁকে গণধর্ষণ করিয়ে খুন করালেন স্বামী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা উত্তরপ্রদেশ বা বিহার বা গোবল্যের কোনও রাজ্যে ঘটেনি। ঘটেছে এই বাংলায়। বাংলাদেশ সীমানা লাগোয়া পেট্রাপোল এলাকায়। উত্তর ২৪ পরগনা(North 24 Pargana) জেলার বনগাঁ(Bongna) মহকুমার পেট্রাপোলে(Petrapole) ঘটে যাওয়া এই ঘটনাকে ঘিরে শিউড়ে উঠছেন আমজনতা। সাতপাকের সম্পর্ক শেষে কিনা এই চরম নৃশংস অমানবিক ভাবে শেষ হবে সেটাই কেউ ভাবতে পারছেন না। কোন মানসিকতা থাকলে সুপারি কিলার দিয়ে নিজের স্ত্রীকে গণধর্ষণ করিয়ে খুন করাতে পারেন স্বামী তা নিয়ে প্রশ্ন ছড়িয়েছে গোটা রাজ্যজুড়ে। যদিও এই ঘটনার জেরে ইতিমধ্যেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে সেই গুণধর স্বামীকে। বাবার এহেন আচরণের জের ক্ষিপ্ত নাবালক পুত্র তার ফাঁসির দাবি তুলেছে।
চলতি মাসের ২ তারিখ মানে গত বুধবার রাতে মহিলা নিখোঁজ হয়ে যান। হাজার খুঁজেও তাঁর কোনও সন্ধান মেলেনি। অদ্ভূত ভাবে সবাই যখন ওই মহিলাকে নিয়ে চিন্তিত ছিল তখন চূড়ান্ত রকম ভাবে ধীরস্থির ছিলেন তাঁর স্বামী। পরেরদিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে পেট্রাপোল থানার জয়ন্তীপুর গ্রামে বাঁশবাগানের মধ্যে মিলেছিল মহিলার মৃতদেহ। গলায় জড়ানো ছিল ওড়নার ফাঁস। সেই ঘটনার তদন্তে নেমেই পুলিশ জানতে পেরেছিল ঘটনার পিছনে হাত রয়েছে সুপারি কিলারদের। কিন্তু চমক তখনও বাকি ছিল। মহিলার দেহের পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ধরা পড়ে মহিলাকে খুনের আগে ও পরে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। তারপরেই মহিলার বড় ছেলের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে স্বামীকে। বৃহস্পতিবারই রাতেই তাকে গ্রেফতার করে তোলা হয় আদালতে। সেখানে তাকে ৮ দিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়ে লাগাতার জেরা করে পুলিশ। আর তাতেই ধরা পড়ে সব কুকীর্তি। ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করিয়ে খুন করার বরাত দিয়েছিল সেই গুণধর স্বামী। পুলিশ এখন এই ঘটনায় জড়িত দুই সুপারি কিলারের সন্ধান শুরু করেছে।