নিজস্ব প্রতিনিধি: স্বামী সইদুল খান জড়িয়েছিলেন পরকীয়ায়। তিনি অশোকনগর থানায় মুহুরির কাজ করতেন। স্বামীর পরকীয়ার সম্পর্ক দেখে ফেলেছিলেন স্ত্রী। অভিযোগ, সেই জন্যই তাঁকে বেধড়ক মারধর (Beat) করা হয়। শুধু তাই নয়, অভিযুক্ত স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ স্ত্রীকে মাথায় হাতুড়ি মেরে খুনের চেষ্টা করা হয়। উত্তর চব্বিশ পরগণার অশোকনগরের ঘটনায় ছড়িয়ে পড়েছে চাঞ্চল্য। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত সইদুল ও রূপা দাস ওরফে সাবিনা বিবির (৩০) বিয়ে হয়েছিল দীর্ঘ ১৫ বছর। দুজনের বাড়িই ছিল অশোকনগরে। বিয়ের পরেই রূপার নাম হয়েছিল সাবিনা। তাঁদের ১৫ বছরের ১ পুত্র সন্তান রয়েছে। অভিযোগ, পরকীয়ায় (Affair) জড়িয়েছিলেন সইদুল। সেই পরকীয়া একটি নয়, একাধিক। তা নিয়ে পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত। গত মঙ্গলবার ১ মহিলার সঙ্গে স্বামীকে পরকীয়া করতে দেখে ফেলেন স্ত্রী। তা নিয়েই শুরু হয় জোর অশান্তি। যার পরিণতি মর্মান্তিক। অভিযোগ, এরপরেই সইদুল বেধড়ক মারধর করেন স্ত্রীকে। হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করার অভিযোগ সইদুলের বিরুদ্ধে। সাবিনার আর্তনাদে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশীরা আসার আগেই পলাতক অভিযুক্ত সইদুল।
বুধবার সকালে এই খবর পান সাবিনার মা রমা দাস। প্রতিবেশীদের সাহায্যে মেয়েকে ভর্তি করেন অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে (Hospital)। জামাই সইদুলের বিরুদ্ধে অশোকনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। নির্যাতিতার মায়ের অভিযোগ, হাতুড়ি দিয়ে তাঁর মেয়েকে একাধিক জায়গায় মারে সইদুল। মাথাতেও আঘাত করেন। মাথা এমন ভাবে থেঁতলে গিয়েছে যে সেলাই করা যাচ্ছে না বলেও দাবি রমা দাসের। সইদুলের বিরুদ্ধে একাধিক বিয়ের অভিযোগ এনেছেন তিনি।
পুলিশ (Police) সূত্রে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে। পরিবার ও স্থানীয় এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় আরও কেউ জড়িত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতার অবস্থা আশঙ্কাজনক।