নিজস্ব প্রতিনিধি: করোনার থাবার আগে ইছামতীর দুই পারে দুই বাংলার দুর্গাপ্রতিমার ভাষাণ দেখার জন্য ভিড় করত দর্শকেরা। যার জন্য ব্যবসা ভালোই চলত সেখানকার মাঝি-মল্লারদের। কিন্তু ২০২০ সাল থেকেই ব্যবসায় মার খাচ্ছে টাকিতে। করোনার সংক্রমণ ও বিধিনিষেধের জন্য গতবছরেই ইছামতীর ভাষাণে জৌলুস কেড়েছিল। একইভাবে চলতি বছরে কিছুটা আশার আলো দেখেছিল সেখানকার ব্যবসায়ীরা। কিন্তু প্রশাসনের তরফে এবছরেও করোনার জন্য কড়াকড়ি করে দেওয়া হয়েছে।
ইছামতীর বক্ষে দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন নিয়ে শনিবার টাকিতে আলোচনা হয় ভারত ও বাংলাদেশের প্রশাসনের কর্তাদের মধ্যে। ইছামতীবক্ষে নৌকো বৈঠকে মিলিত হন ভারত ও বাংলাদেশের পুলিস প্রশাসনের কর্তা ও দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর আধিকারিকরা। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে দুর্গা প্রতিমা বিসর্জনের দিন গত বছরের মতোই কড়াকড়ি থাকবে। বিসর্জনের জন্য ৮ জনের বেশি প্রতিমার নৌকোয় উঠতে পারবেন না। বিসর্জন দেখতে হবে নদীর পাড় থেকে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এই একই নিয়ম লাগু হবে। বেলা একটা থেকে বিকেল চারটের মধ্যে বিসর্জন পর্ব শেষ করতে হবে।
কিন্তু এই সিদ্ধান্তে মোটেই খুশি নয় এলাকাবাসী। গতবছর থেকেই ব্যবসা মার খাচ্ছে এই করোনার জন্য। আরও মার খাবে বিসর্জনে এই বিধিনিষেধ লাগু থাকলে। খুশি নন মাঝি ও মল্লাররা। প্রশাসনের কাছে তারা সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন বলে সূত্র মারফত জানা গিয়েছে।