নিজস্ব প্রতিনিধি: বিষাদের সুর, আজ দশমী। জগদ্ধাত্রী ঠাকুরের বিসর্জনে জনতার ঢল চন্দননগর ও কৃষ্ণনগরে। গঙ্গার ঘাঁটে রীতি মেনেই চন্দননগরে চলছে প্রতিমা নিরঞ্জন। যদিও কৃষ্ণনগরে প্রশাসনের তরফে কিছুটা বিধিনিষেধ রয়েছে তাই মেনেই চলছে প্রতিমা নিরঞ্জন। চন্দননগরে দুপুর ১২টা থেকেই শুরু হয়েছে প্রতিমা নিরঞ্জন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার মোট ৮০টি প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে। সোমবার হবে আরও ৯১টি প্রতিমা। এদিন বেলা ১২টা থেকে নিরঞ্জন-পর্ব শুরু হলেও আগামিকাল অর্থাৎ সোমবার সকাল ৯টা থেকেই ভাসান পর্ব শুরু হবে চন্দননগরে। এবারে চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে মোট ১৮টি ঘাট ভাসানের জন্য নির্দিষ্ট করা হয়েছে। করোনার কারণেই একই জায়গায় ভিড় বাড়াতে নিষেধ করা হয়েছে।
তবে মূলত রানিঘাট, শিববাটি ঘাট এবং ভদ্রেশ্বর শ্রীমানি ঘাটেই অধিকাংশ প্রতিমা নিরঞ্জন হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে প্রতিমা নিরঞ্জন করতে গিয়ে কোনও বিপদ যাতে না ঘটে তাই কড়া নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে ড্রোন নামানো হয়েছে। এছাড়া এসপি ও এএসপি পদমর্যাদার বেশ কিছু অফিসার থাকছেন ঘাটগুলির নিরাপত্তার দায়িত্বে। দুর্ঘটনা এড়াতে জলপুলিশের সঙ্গে মোতায়েন রয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর আধিকারিকরা। তবে প্রতিমা নিরঞ্জন করলেও গঙ্গার দূষণের দিকেও নজর দিয়েছে প্রশাসন। তাই কিছু নির্দেশ রয়েছে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারটের তরফে।
জানা গিয়েছে, রানিঘাটে একসঙ্গে ৪টের বেশি প্রতিমা বিসর্জন করতে দেওয়া হবে না। গঙ্গা দূষণ রুখতে ঘাটে ফুল-মালার জন্য আলাদা জায়গা রাখা হয়েছে। মূর্তি জলে ফেলার পরই যন্ত্র দিয়ে তা পাড়ে তুলে ফেলা হবে বলে নির্দেশ রয়েছে। প্রতিমার পোশাক কিংবা সাজ জলে ভেসে যাতে বেশি দূর না যায় তাই দেওয়া হয়েছে জাল। প্রতিবছরের মতোই এবছরেও চন্দননগর এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে প্রতিমা নিরঞ্জন হচ্ছে।