নিজস্ব প্রতিনিধি: মুখ্যমন্ত্রী (CM) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (MAMATA BANERJEE) উত্তরবঙ্গ সফরের মধ্যে এবার কেঁচো কাণ্ডে তদন্ত চাইল জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূল (TMC)। খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থাকে শোকজ করে জবাব তলব করলেন জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। গত শনিবার রাতে জলপাইগুড়ি জেলা সদর হাসপাতালের (HOSPITAL) শিশু বিভাগে সরবরাহ করা খাবারের মধ্যে কেঁচো পাওয়া যায়। ঘটনা কে কেন্দ্র করে হুলুস্থুল কাণ্ড বাধে জেলা হাসপাতালে। ওয়ার্ড মাস্টারকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান রোগীর আত্মীয়রা। মূল অভিযোগ, খাবার সরবরাহকারী বেসরকারি ঠিকাদার সংস্থার বিরুদ্ধে।
উত্তরবঙ্গ সফরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরমধ্যে হাসপাতালে শিশু খাদ্যে কেঁচো কাণ্ডে তদন্ত চেয়েছে তৃনমূল। এই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর। ঘটনার জেরে রবিবার খাবার বয়কট করেন দীপক রায়ের ছেলে সহ অনেক রোগীর পরিবার। এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অসীম হালদার। ঠিকাদারি সংস্থার বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ। ঘটনার তদন্তে ৪ সদস্যর তদন্ত কমিটি তৈরি করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির মাথায় রয়েছেন অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (২) ডা: মৃদুল কুমার ঘোষ। ৩ জন ফুড সেফটি অফিসারকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। জেলা হাসপাতালের রোগীদের খাদ্য সরবরাহের দায়িত্বে রয়েছে একটি ঠিকাদার সংস্থা। ওই সংস্থাকে শোকজ করে জবাব তলব করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
এদিন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলার সভাপতি মহুয়া গোপ বলেন, শিশুদের জন্য হাসপাতালের পক্ষ থেকে সরবরাহ করা খাবারে কেঁচো পাওয়া গিয়েছে। এই ব্যাপারে যারা স্বাস্থ্য আধিকারিক রয়েছেন তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারেন না। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে মানুষের জন্য এতকিছু করছেন সেখানে এই ধরনের গাফলতি তৃণমূল বরদাস্ত করবে না। বলেন, তিনি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা: অসীম হালদার বলেন, তদন্ত কমিটি ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছে। আগামী বুধবারের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা করতে বলা হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলেই প্রয়োজনীয় যা পদক্ষেপ নেওয়ার নেওয়া হবে। খাবার বয়কট সমস্যা মেটানোর জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।