নিজস্ব প্রতিনিধি: ধূপগুড়ি থেকে জম্মুতে কাজে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৫ পরিযায়ী শ্রমিকের (Migrant Workers)। সুড়ঙ্গের কাজ করার সময় ধস নেমে মৃত্যু হয়েছিল তাঁদের। তাঁদের দেহ বিমানের বদলে নিয়ে আসা হচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সে। রবিবার রাতেই পরিযায়ী শ্রমিকদের দেহ ফিরিয়ে আনতে জম্মু রওনা দিয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। মঙ্গল সেই অ্যাম্বুলেন্স ফিরবে ধূপগুড়িতে। অপেক্ষায় শোকস্তব্ধ ধূপগুড়ি। যেই সংস্থার হয়ে কাজ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন শ্রমিকরা, সেই সংস্থাই দেহ ফিরিয়ে দিচ্ছে অ্যাম্বুলেন্সে। মৃতদের পরিবারের পাশে স্থানীয় প্রশাসন ও রাজ্য সরকার।
বিমানে করেই মৃতদের দেহ ফিরিয়ে আনার কথা ছিল। তবে সময় মত পৌঁছাতে না পারায় তা সম্ভব হয়নি। তাই ব্যবস্থা অ্যাম্বুলেন্সের। উল্লেখ্য, ধূপগুড়ি থেকে জম্মুতে কাজ করতে গিয়েছিলেন প্রায় ১২ জন পরিযায়ী শ্রমিক। এদের মধ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছিল ৫ জনের। এই খবর পাওয়া মাত্র ধূপগুড়ি এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। মৃতদের বাড়ি গধেয়ার কুঠি অঞ্চল ও মাগুরমারী এলাকায়। মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু (Death) হয়েছিল তাঁদের।
জানা গিয়েছে, ধূপগুড়ি থেকে জম্মুর রাম্বনে এলাকায় কাজ করতে গিয়েছিলেন প্রায় ১২ জন পরিযায়ী শ্রমিক। গত ৩ মে তাঁরা বাড়ি থেকে রওনা দিয়েছিলেন কাজের বরাত পেয়ে। গত ১৯ মে রাতে ওই শ্রমিকেরা কাজ করছিলেন টানেল তৈরির। সেই সময় হঠাৎ করে নামে ধস। মাটি চাপা পড়ে মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজন শ্রমিকের। জানা গিয়েছে, রাত প্রায় ১১ টা ৩০ মিনিট নাগাদ নামে ধস। তাতেই মৃত্যু হয় শ্রমিকদের। মৃতদের মধ্যে ৫ জন ধূপগুড়ি থানা এলাকার। মৃতদের মধ্যে ৩ জন গধেয়ার কুঠি অঞ্চল চরচরা বাড়ি এলাকার বাসিন্দা এবং ২ জন মাগুরমারী- ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম মল্লিক পাড়া এলাকার বাসিন্দা।
মৃতদের নাম, পরিমল রায় (৩৫), দীপক রায় (৩০), সুধীর রায় (৩১), যাদব রায় (২৩) এবং গৌতম রায় (২২)। প্রথম ৩ জনের বাড়ি গাধের কুঠি এলাকার ভাণ্ডানি এলাকায়। যাদব এবং গৌতমের বাড়ি মাগুরমারী- ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিক পাড়া এলাকায়। এই ২ জায়গায় নেমে এসেছে কান্নার রোল।
মৃতদের দেহ ফিরিয়ে আনতে উদ্যোগ নিয়েছে সরকার, স্থানীয় প্রশাসন ও যেই সংস্থার হয়ে কাজ করতে গিয়ে এই দুর্ঘটনা, সেই সংস্থা।
মৃত পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়িতে গিয়েছিলেন জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ সুপার (SP) দেবর্ষি দত্ত। কথা বলেছিলেন মৃতদের পরিবারের সঙ্গে। তাঁর সঙ্গে বাড়ি বাড়ি যান পুলিশের একটি দল। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছিলেন, ধূপগুড়ি থেকে জম্মু ও কাশ্মীরে কাজ করতে গিয়েছিলেন ৫ শ্রমিক। তাঁদের মৃত্যু হয়েছে। ধস নামার ফলে নিখোঁজ শ্রমিকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। করা হচ্ছে তথ্য সংগ্রহ। পুলিশ প্রশাসন এই সব পরিবারের পাশে সবসময় থাকবে। আরও জানানো হয়েছিল, এই ঘটনায় কেউ নিখোঁজ কি না তাও জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।