নিজস্ব প্রতিনিধি: ‘আমফান’ ও ‘যশ’-এর ক্ষয়ক্ষতির কথা মাথায় রয়েছে। তাই ‘জাওয়াদ’ নিয়ে যতই খুশির বাণী শোনাক হাওয়া অফিস। নিরাপত্তা আঁটোসাটো করছে পরিবহন দফতর। ইতিমধ্যেই হুগলিতে ফেরিঘাট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, স্থলভাগে ঢোকার আগেই পুরীতে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে ‘জাওয়াদ’। বাংলায় রবিবার রাতে নিম্নচাপ আকারে প্রবেশ করবে ‘জাওয়াদ’। তাই কিছুটা চিন্তা কম হলেও মাথায় রয়েছে অমাবস্যার কোটাল। তাই সমুদ্রে চাপ থাকবে আর তাতেই জোয়ারের টানে উত্তাল থাকবে গঙ্গা। সেই সময় ফেরীতে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই ঝুঁকি না নিয়ে ফেরি পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, সকাল সাড়ে ছটা থেকে চুঁচুড়া নৈহাটি ফেরি পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি চুঁচুড়া থেকে উত্তরপাড়ারও অন্যান্য ফেরিঘাট গুলিও বন্ধ রয়েছে। হুগলি জেলা প্রশাসনের নির্দেশেই বন্ধ করা রয়েছে এই ফেরিঘাটগুলি। হুগলি জেলা প্রশাসন থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতায় আজ ও কাল দু’দিন বন্ধ থাকবে ফেরিঘাট। যাত্রীদের বিকল্প পথে যেতে অনুরোধ করছেন ফেরিঘাটের কর্তব্যরত কর্মীরা। জাওয়াদ মোকাবিলায় হুগলি জেলায় প্রস্তুত হয়েছে, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও সিভিল ডিফেন্সের আধিকারিকরা। সিভিল ডিফেন্সের গাড়ি প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। বিপর্যয় হলেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে যেতে প্রস্তুত বাহিনী। রয়েছে জল পুলিশ ও স্পিড বোট।
বাইশ জন প্রশিক্ষণ প্রাপ্তকে কুইক রেসপন্স টিমে রাখা হয়েছে, হুগলিতে। ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে জেলা শাসক দফতরে। রাজ্যে শনিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। রবিবার যা বাড়বে। তবে ঝড়ের দাপট আর থাকবে না বলেই জানা গিয়েছে।