এই মুহূর্তে

WEB Ad Valentine 3

WEB Ad_Valentine

বনধে স্তব্ধ ঝালদা, প্রভাব পুরুলিয়া জেলাজুড়েই

নিজস্ব প্রতিনিধি: পুরুলিয়া জেলার ঝালদা(Jhalda) পুরসভার চার বারের কংগ্রেস(INC) কাউন্সিলর তপন কান্দু(Tapan Kandu) খুন হয়ে গিয়েছেন গত রবিবার সন্ধ্যাতেই। সেই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। সন্ধান মেলেনি সেই দুষ্কৃতীদের যারা সুপারি নিয়ে খুন করেছে। তবে এই ঘটনায় পুলিশ তপনবাবুর দাদা নরেন কান্দু ও তাঁর ছেলে দীপক কান্দুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। সেই ঘটনার জেরেই কংগ্রেসের তরফে মঙ্গলবার পুরুলিয়া(Purulia) জেলাজুড়ে ১২ ঘন্টা বনধের(Bandh)ডাক দেওয়া হয়। আর সেই বনধেই এদিন জনজীবন থমকেছে সম্পূর্ণভাবে ঝালদা শহর ও আশেপাশের গ্রামীণ এলাকায়। শহরের সব দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। চলছে না কোনও প্রকারের যানবাহন। কার্যত মানুষজন স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই এই বনধকে সমর্থন করছেন। বনধের প্রভাব পড়েছে পুরুলিয়া জেলাজুড়েই। তবে সেখানে জনজীবন পুরোপুরি থমকে যায়নি।

কংগ্রেসের ডাকা বনধকে সমর্থন করেছে বামেরাও। তার জেরেই জেলাজুড়ে বনধের প্রভাব পড়েছে বলে অনেকেই মনে করছেন। এদিন সেই বনধের মধ্যেই ঝালদা শহরে মিছিল করেন দুই দলের কর্মী ও সমর্থকেরা। সাম্প্রতিককালে হয়ে যাওয়া রাজ্যের ১০৮টি পুরসভার নির্বাচনে ঝালদাতে ত্রিশঙ্কু ফলাফল হয়। শহরের ১২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫টিতে তৃণমূল(TMC), ৫টিতে কংগ্রেস ও ২টিতে নির্দল প্রার্থীরা জয়ী হন। কংগ্রেসের তরফে এবার প্রার্থী হয়েছিলেন তপনবাবু ও তাঁর স্ত্রী। দুইজনই জয়ী হন এই নির্বাচনে। আর সেই জয়ের জেরেই চার বারের কাউন্সিলর তপনবাবুকে পুরপ্রধান হিসাবে তুলে ধরেই ঝালদায় বোর্ড দখলের পথে নেমে পড়েছিল কংগ্রেস। ২ নির্দল প্রার্থীও আশ্বাস দিয়েছিলেন তাঁরা কংগ্রেসের যোগ দেবেন ও তপনবাবুকেই পুরপ্রধান পদে সমর্থন জানাবেন। কিন্তু এখন তপনবাবু খুন হয়ে যাওয়ায় ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠনের বিষয়টি চূড়ান্ত অনিশ্চিত হয়ে গেল। সেই সঙ্গে কংগ্রেসের পক্ষেও আর বোর্ড গঠনের কোনও সম্ভাবনা থাকল না। যদিও তৃণমূলের দাবি, তাঁরাই বোর্ড গঠন করতে চলেছেন ঝালদায়। 

এদিকে তপনবাবুর খুনের ঘটনায় তাঁর দাদা নরেন কান্দু ও ভাইপো দীপক কান্দুকে গতকাল আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেও এখনও তাঁদের গ্রেফতার করেনি পুলিশ। দীপক সদ্য সদ্য হয়ে যাওয়া পুরনির্বাচনে তপনবাবুর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রতীকে প্রার্থী হয়েছিলেন। কংগ্রেসের দাবি ঘটনায় জড়িত রাজনীতি ও তৃণমূল। কংগ্রেস যাতে ঝালদায় বোর্ড গড়তে না আপারে এবং শহরে যাতে কংগ্রেসের আর কোনও প্রভাব না থাকে তার জন্যই পরিকল্পনা করে তপনবাবুকে খুন করেছে শাসক দল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যদিও পুলিশের দাবি, ঘটনায় জড়িয়ে নেই কোনও রাজনীতি। বরঞ্চ জড়িয়ে রয়েছে পারিবারিক বিবাদ। পুলিশের এই দাবিকে আরও শক্তপোক্ত করেছে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একটি অডিও ক্লিপ। সেই কথোপকথন তপনবাবুর অপর এক ভাইপো মিঠুন কান্দু ও ঝালদা থানার আইসি’র বলেই দাবি করছেন অনেকে। মিঠুন তা স্বীকারও করে নিয়েছে। তার দাবি, তৃণমূলের তরফে ঝালদা থানার আইসি যোগাযোগ রাখছিলেন তাঁর সঙ্গে। সেই সঙ্গে চেষ্টা চলছিল তপনবাবু ও তাঁর স্ত্রীকে তৃণমূলে যোগ দেওয়ানোর জন্য। যদিও তপনবাবুর দাবি ছিল পুরপ্রধানের পদ। কিন্তু ঝালদা থানার আইসি’র তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ঝালদার চেয়ারম্যান হবেন তৃণমূলের প্রতীকেই জেতা কোনও প্রার্থী। তবে তিনি তপনবাবু বা তাঁর স্ত্রীর জন্য ভাইস চেয়ারম্যানের পদটি যাতে বরাদ্দ হয় সেই দিকটি দেখবেন। আর এই অডিও ক্লিপ সামনে আসার পরেই গোটা ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।

Published by:

Ei Muhurte

Share Link:

More Releted News:

সিরিয়াল পোস্ট অফিস চুরির গ্যাংকে পাকড়াও করল হাবড়া পুলিশ

নবদ্বীপে ভাগীরথী নদীতে স্নান করতে নেমে মর্মান্তিক মৃত্যু ছাত্রের

অসুস্থ মেয়েকে চিকিৎসার জন্য গাড়িতে করে হাসপাতালে পাঠালেন তৃণমূল প্রার্থী কালীপদ সরেন

ধুপগুড়িতে খেলার মাঠ বন্ধ করে দেওয়ায় জাতীয় সড়ক অবরোধ খেলোয়াড়দের

বাংলাদেশী সন্দেহে ৩৪৭ দিন জেলবন্দী ২ আদিবাসী মহিলা সহ তাদের শিশুরা

৪ বারের চেষ্টায় ইউপিএসসিতে সফল, তাক লাগিয়ে দিলেন শ্রীরামপুরের মেয়ে

Advertisement
এক ঝলকে
Advertisement

জেলা ভিত্তিক সংবাদ

দার্জিলিং

কালিম্পং

জলপাইগুড়ি

আলিপুরদুয়ার

কোচবিহার

উত্তর দিনাজপুর

দক্ষিণ দিনাজপুর

মালদা

মুর্শিদাবাদ

নদিয়া

পূর্ব বর্ধমান

বীরভূম

পশ্চিম বর্ধমান

বাঁকুড়া

পুরুলিয়া

ঝাড়গ্রাম

পশ্চিম মেদিনীপুর

হুগলি

উত্তর চব্বিশ পরগনা

দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা

হাওড়া

পূর্ব মেদিনীপুর