নিজস্ব প্রতিনিধি,ঝাড়গ্রাম: দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি জঙ্গলমহলে জাঁকিয়ে শীত অনুভব হতে শুরু হয়েছে। সন্ধ্যের পর থেকে লালমাটির গ্রামগুলিতে তাপমাত্রা নিম্নমুখি হচ্ছে। এমত পরিস্থিতিতে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর (Gopiballavpur)- ২ নম্বর ব্লকের প্রত্যন্ত গ্রাম রামগড় এলাকায় শীত বস্ত্র বিতরণ করল পুলিশ। মোট ৩২৫ জন দু:স্থ ও গরিব মানুষদের কম্বল বিতরণ করা হয় বেলিয়াবেড়া থানা পুলিশের পক্ষ থেকে। শুধু কম্বল বিতরণ নয় সারা বছরই জঙ্গলমহলে মানুষের পাশে থাকে সেখানকার পুলিশ।
জঙ্গলমহলের দরিদ্র পরিবারের ছেলেমেয়েদের পুষ্টিকর খাদ্য দেওয়ার পাশাপাশি মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার সামগ্রী বিতরণ এবং যুবক-যুবতীদের প্রতিযোগিতামূলক চাকরি পরীক্ষায় বসানোর জন্য বিশেষ কোচিং দেওয়া হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। সোমবার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঝাড়গ্রাম জেলার পুলিশের এডিশনাল এস পি(Add.S.P.) কল্যাণ সরকার, বেলিয়াবেড়া থানার ওসি(OC) সুদীপ পালোধী, সহ অন্যান্য পুলিশ আধিকারিকরা। এদিন বস্ত্র বিতরণের পাশাপাশি গোটা গ্রামের মানুষদের বসে খিচুড়ি খাওয়ানোর আয়োজন করেন বেলিয়াবেড়া থানার(Beliabera P.S.) পুলিশ অফিসাররা। পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন ওই অঞ্চলের গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শংকর প্রসাদ দে। ঝাড়গাম পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সরকার বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন পুলিশ জনসংযোগ মজুদ রাখতে একাধিক প্রকল্প গ্রহণ করছে।
‘মিশন সুস্বাস্থ্য’ এমন একটি প্রকল্প, যার মাধ্যমে পুলিশ প্রত্যন্ত জঙ্গলমহলের গ্রামগুলিতে কলকাতার এসএসকেএম(SSKM) হাসপাতাল সহ বিভিন্ন নাম করা হাসপাতালের চিকিৎসকদের নিয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য শিবির সংগঠিত করছে। উদ্দেশ্য একটাই হতদরিদ্র মানুষগুলির স্বাস্থ্য পরীক্ষা যাতে সঠিকভাবে হয়। শুধু তাই নয় জঙ্গলমহলের প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষায় পরামর্শ দিতে সিভিক ভলেন্টিয়ার, হোম গার্ড এদের সাহায্য নিয়ে একটি করে শিবির করা হচ্ছে পুলিশের উদ্যোগে। জঙ্গলমহলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এই দুটি পরিষেবা যাতে দরিদ্র মানুষগুলি সঠিক ভাবে পায় সেদিকে সর্বদা সজাগ রয়েছে পুলিশ।