নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: বুধবার প্রকাশিত হলো উচ্চ মাধ্যমিকের ফল। পরীক্ষা শেষের ৫৭ দিন পর প্রকাশিত হল উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অলচিকি হরফে সাঁওতালি ভাষায় রাজ্যের মধ্যে যুগ্ম প্রথম হয়েছে ঝাড়গ্রাম রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির(jhargram Ramkrishna Mission Mandir) একলব্য মডেল স্কুলের দুই ছাত্রী। তাদের প্রাপ্ত নম্বর ৪৭২। ওই দুই ছাত্রী হলেন সরস্বতী বাস্কে ও মৌসুমী টুডু।
সরস্বতীর বাড়ি ঝাড়গ্রাম জেলার বিনপুর থানা এলাকায় এবং মৌসুমী টুডুর বাড়ি বাঁকুড়া জেলার বারিকুল থানা(Barikul P.S.) এলাকায়। মৌসুমী বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে আসা একজন ছাত্রী। মৌসুমীর বাবা গনেশ টুডু পেশায় একজন কৃষক। ঝাড়গ্রামে থেকে পড়াশোনা করে কৃষক পরিবারের মেয়ের এই সাফল্যে গর্বিত জেলাবাসী। সে জানায় সারাদিনে ৪ ঘণ্টা পড়াশোনা করতো। তবে পড়াশোনার পাশাপাশি মৌসুমী খেলাধুলো ও নাচ করতে ভালোবাসে। ভবিষ্যতে কলকাতা পুলিশে যোগ দিতে চায় মৌসুমী। আগামীতেও সেই নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় সে। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা, মহারাজ ও পরিবারের লোকজনদের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে মৌসুমী।
অপরদিকে ঝাড়গ্রামের বিনপুরের(Binpur) প্রত্যন্ত এলাকার কৃষক পরিবারের মেয়ে সরস্বতী বাস্কে। সেও সাঁওতালি ভাষায় রাজ্যের মধ্যে যুগ্ম প্রথম। সরস্বতীর বাবা বিশ্বনাথ বাস্কে পেশায় একজন কৃষক। সরস্বতীর মা একজন গৃহবধূ। খুব সাধারণ পরিবারের মেয়ে সরস্বতী। বাড়িতে সরস্বতীর এক ভাই ও বোন আছে। ক্লাস ৬ থেকে ঝাড়গ্রাম রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির একলব্য মডেল স্কুলে পড়াশোনা শুরু তার। তার এই সাফল্যে তার পাড়া-প্রতিবেশী ও তার সাঁওতালি সমাজের মানুষের মুখ উজ্জল হয়েছে। সরস্বতীর এই সাফল্যে স্কুল ও মা-বাবাকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছে সে। সরস্বতী ভবিষ্যতে একজন শিক্ষিকা হতে চায়। সাঁওতালি ভাষায় রাজ্যের মধ্যে দুই জন ছাত্রী যুগ্ম প্রথম হওয়ায় ঝাড়গ্রাম রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির একলব্য মডেল স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা আনন্দে মেতে ওঠে ।