নিজস্ব প্রতিনিধি: দিন তিনেক আগে শেষবার বৃষ্টি পেয়েছে কলকাতা(Kolkata) ও লাগোয়া জেলাগুলি। সঙ্গে পেয়েছে ভালো বৃষ্টিও(Rain)। তার জেরে রবি সকালে কলকাতার বুকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ৪ ডিগ্রি নীচে নেমে গিয়েছিল। কিন্তু রবি ও সোম পর পর দুই দিন আর বৃষ্টি পায়নি দক্ষিণবঙ্গের(South Bengal) কোনও জেলাই। আর তার জেরে ক্রমশ চড়ে চলেছে ভ্যাবসা গরম। যদিও মঙ্গলবার বিকালে সেই ভ্যবসা গরম থেকে মুক্তি মিলতে পারে বলে এদিন সকালে বার্তা দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তাঁদের দাবি, এদিন বেলা গড়ালেই বদলাতে পারে আবহাওয়া। বিকালের দিকে কলকাতা ও আশেপাশের জেলায় থাকছে কালবৈশাখী(Kalbaishakhi) ঝড়ের সঙ্গে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। তবে বৃহস্পতিবার থেকে ফের দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
মঙ্গলবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সোমবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। এদিন ভোরে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ২৭.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯২ শতাংশ। এদিন বিকালে ঝড়বৃষ্টির দরুন স্বস্তি ফিরলেও আগামিকাল সকাল থেকে কিন্তু ফের অস্বস্তি বাড়াবে আপেক্ষিক আর্দ্রতা। এদিন অবশ্য শুধু কলকাতাই নয়, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও বিক্ষিপ্তভাবে রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। কিন্তু বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা কমতে শুরু করবে। যদিও সপ্তাহের শেষে ফের হতে পারে বৃষ্টিপাত। গত সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টিপাত হয়। টানা দু’তিনদিন ধরে চলে বৃষ্টিপাত। কিন্তু চলতি সপ্তাহে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা অপেক্ষৃত কম।
এই বছর চলতি সময়ের আগেই রাজ্যে বর্ষা পা রাখতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু(Monsoon) বেশ কিছুটা এগিয়ে এসেছে। আরব সাগরের অনেকটা অংশে এবং মধ্য বঙ্গোপসাগরে প্রবেশ করেছে মৌসুমী বায়ু। তার জেরেই এদিন দক্ষিণবঙ্গে কালবৈশাখীর সম্ভাবনা থাকছে। কেননা সাগর থেকে হু হু করে জলীয় বাষ্প ঢুকছে যা ঝাড়খণ্ডের বুকে উলম্ব মেঘ সৃষ্টি করছে। সেই মেঘই পূবে চলে এসে ঝড়বৃষ্টি ঘটাতে পারে কলকাতা সহ আশেপাশের জেলাগুলিতে। তবে চলতি মাসের শেষদিক থেকেই দক্ষিণবঙ্গের বুকে প্রাক বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তার জেরে পারা কিছুটা হলেও নামবে। কমবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি।